সাজঘরে বাংলাদেশের দুই ওপেনার

0

স্পোর্টস ডেস্ক:: মরনে মরকেলের আলগা বলে ব্যাট ছুঁয়ে রক্ষা হলো না লিটন কুমার দাসের। ২৫ রান করেই ফিরতে হলো প্যাভিলিয়নে। তার আগে ব্যক্তিগত ৭ রান করে রাবাদার শর্ট বলে মার্করামের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ইমরুল। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৫০ রান।

এর আগে ডিন এলগারের ১৯৯ আর হাশিম আমলার ১৩৭ রানে ভর করে ৪৯৬ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে স্বাগতিকরা। এছাড়া দলকে ৯৭ রান উপহার দেন মার্করাম। দক্ষিণ আফ্রিকার খোয়া যাওয়া তিন উইকেটের মধ্যে একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান এবং শফিউল ইসলাম। বাকি উইকেটটি এসেছে রান-আউট থেকে।

আজ দ্বিতীয় দিনেও বিবর্ণ শুরু হয় বাংলাদেশের। প্রথম সেশন ছিল নিষ্ফলা। দ্বিতীয় সেশনটা খুব একটা খারাপ কাটেনি। লাঞ্চ থেকে ফিরেই হাশিম আমলাকে ফেরান শফিউল। ব্যক্তিগত ১৩৭ রানের মাথায় শফিউল ইসলামের বলে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন হাশিম আমলা। যার ফলে ভাঙে এলগার-আমলার ২১৫ রানে জুটি। এরপর এলগারের দ্বিশতক কেড়ে নেন মোস্তাফিজ।

১৯৯ রানে থাকা ডিন এলগারকে বিদায় করলেন এই টাইগার সেনসেশন। দলীয় ৪৪৫ রানের মাথায় দ্বিশতক থেকে এক পলক দূরে থাকা এলগারকে শর্ট ডেলিভারির ফাঁদে ফেলেন ফিজ। ব্যাটে-বলে সংযোগ না হওয়ায় বল উপরে উঠে যায়। তাতেই মুমিনুলের হাতে ক্যাচবন্দী হন এলগার।

পচেফস্ট্রুমে মুদ্রা লড়াইয়ে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া কতটা ঠিক ছিল, সেটা প্রথম দিনই টের পায় মুশফিক-মিরাজরা। প্রথম সেশনে উইকেটবিহীন থাকার পর দ্বিতীয় সেশনে এক উইকেট। তাও, রান আউটের বদৌলতে। আর দিনের শেষটা কেটেছে হাশিম আমলা এবং ডিন এলগারের ব্যাটিং ঝলকানি দেখে। স্কোরবোর্ডে ১ উইকেটে ২৯৮ রান জমিয়ে প্রথম দিন শেষ করেন আমলা (৬৮) ও এলগার (১২৮)।

প্রায় ৯ বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকায় পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলছে টাইগাররা। সর্বশেষ ২০০৮ সালে ভিলিয়ার্স-আমলাদের দেশে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তাছাড়া ২০০২ সালে এই মাঠে সবশেষ টেস্ট হয়েছিল। ওই ম্যাচটিতেও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ। সবমিলে ১৫ বছর পর আবারও পচেফস্ট্রুমে মুখোমুখি  হলো দুই দল। আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড মোটেও ভালো নয়। অদ্যাবধি দুই দলের ১০ বারের দেখায় ৮টিই জিতেছে আফ্রিকা। দুটি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে ড্র হয়।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ১৪৬ ওভারে ৪৯৬/ডি.(এলগার ১৯৯, মার্করাম ৯৭, আমলা ১৩৭, বাভুমা ৩১*, ডু প্লেসি ২৬*; মোস্তাফিজ ১/৯৮, শফিউল ১/৭৪, মিরাজ ০/১৭৮, তাসকিন ০/৮৮, মাহমুদউল্লাহ ০/২৪, মুমিনুল ০/১৫, সাব্বির ০/১৫)।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.