চন্দনাইশে হিজরি নববর্ষ ১৪৩৯ বরণ

0

এস কফিল, চন্দনাইশ: চন্দনাইশের বরকল মৌলভী বাজার মোস্তফা কনভেনশন হলে হিজরি নববর্ষ ১৪৩৯ বরণ করা হয়েছে। হামদ, নাতে রাসূল (দ), গজল, মাইজভান্ডারী গান, দেশাত্মবোধক সংগীত ও ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনার মাধ্যমে বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের শায়ের ও শিল্পীবৃন্দ হিজরি নববর্ষকে বরণ করে নেন। এ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।

২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকালে বরকল মৌলভী বাজার মোস্তফা কনভেনশন হলে বরকল-বরমা হিজরি নববর্ষ উদ্যাপন পরিষদের উদ্যোগে এবং এর আহ্বায়ক মাওলানা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন কাদেরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সদস্য ও গাউসিয়া কমিটি দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ কমর উদ্দিন সবুর।

তিনি বলেন, হিজরি সনের সাথে মুসলমানদের অস্তিত্ব, ইতিহাস ও ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে। মুসলমানদের জীবনধারা ও ইবাদত বন্দেগী হিজরি সন ও তারিখকে ঘিরে সাড়ে তেরশত বছর ধরে পালিত হয়ে আসছে। অথচ দু:খজনক যে আশুরা ও ঈদে মিলাদুন্নবী (দ) দিবসে সরকারি ছুটি থাকলেও গুরুত্বের সাথে রাষ্ট্রীয় আয়োজনে ইসলামী দিবস সমূহ পালন করা হয় না।

আলহাজ্ব কমর উদ্দিন সবুর বলেন, খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ও বাংলা নববর্ষ পালনে আমরা আপত্তি করি না। যখন দেখি খ্রিষ্ট্রীয় নববর্ষ ও বাংলা নববর্ষের নামে ভিনদেশী অপসংস্কৃতি পালনের নামে দেশে উচ্ছৃঙ্খল তৎপরতা চলে তখন আমরা নিন্দা করারও ভাষা খুঁজে পাই না। ৮৫ভাগ মুসলমানের এদেশে ভিনদেশী বিকৃত অপসংস্কৃতি চলতে দেওয়া যায় না বলে তিনি উল্লেখ করেন। ১ মহররম সরকারি ছুটি ঘোষণা এবং ইসলামী দিবস সমূহ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালনে বক্তারা সরকারের প্রতি জোরালো দাবি জানান।

হিজরি নববর্ষ উদ্যাপন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম ও সহ-সদস্য সচিব মুহাম্মদ শরফুদ্দীন নিজামীর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চন্দনাইশ উপজেলার সভাপতি প্রবীন আলেমেদ্বীন অধ্যক্ষ আল্লামা শাহ্ খলিলুর রহমান নিজামী (মজিআ)।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা মুহাম্মদ সোলায়মান ফারুকী, বরমা ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম, প্রাশিপ সভাপতি মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী, রাজনীতিবিদ ও শিক্ষানুরাগী জাবেদ মোহাম্মদ গাউস মিল্টন, মাওলানা মুহাম্মদ ফেরদৌসুল আলম খান আলকাদেরী, পশ্চিম চর বরমা গাউসিয়া তৈয়্যবিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি হাজী মোঃ শের আলী, শেবন্দী-চর বরমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি সমাজ সেবক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, সমাজ সেবক মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন ও আলহাজ্ব ফয়েজ খতিবি। প্রধান আলোচক ছিলেন, দৈনিক পূর্বদেশের সিনিয়র সহ-সম্পাদক অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবু তালেব বেলাল।

প্রধান আলোচকের আলোচনায় তিনি বলেন, বাঙালি মুসলমান হিসেবে বাঙালি নির্মল সংস্কৃতি বিসর্জন না দিয়েও আমরা হিজরি নববর্ষ পালন করতে পারি। অতি বাঙালি সাজতে গিয়ে আমরা যেন আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে ভুলে না যাই। মুসলমান হিসেবে ইসলামী সংস্কৃতি ধারণ ও লালনই আমাদের প্রথম ও প্রধান করনীয়। তিনি তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ ও বিজাতীয় নগ্ন সংস্কৃতির আগ্রাসনের লাগাম টেনে ধরে যুব সমাজের নৈতিক অবক্ষয় ঠেকাতে সুস্থধারার ইসলামী সংস্কৃতির বিকাশ ঘটানোর আহবান জানান। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যসুস্তকে হিজরি সনের তাৎপর্য তুলেধরে প্রবন্ধ প্রকাশেরও দাবি জানান। বিশেষ আলোচক ছিলেন, মুহাম্মদ মামুন উদ্দিন সিদ্দিকী, জিএম শাহাদত হোসাইন মানিক, যুবনেতা মুহাম্মদ মহি উদ্দীন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম, কে.এ.এম রাশেদ, শাহজাদা কিবরিয়া হোসেন আজম, মাওলানা আবদুল মতিন, আলহাজ্ব মুহাম্মদ আলী আক্কাস, মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, মুহাম্মদ জালাল উদ্দীন আলকাদেরী, মুহাম্মদ ফোরকান হামিদ আজাদ, সৈয়দ মুহাম্মদ নূর আলম, মুহাম্মদ আবদুল মুবিন, মাওলানা কাজী মুহাম্মদ নূরুল আনোয়ার, ইউপি সদস্য মনজুরুল আলম চৌধুরী, মাওলানা মুহাস্মদ আবদুল মতিন, মোহাম্মদ আবু তাহের, ওসমান শাহাদাৎ, মুহাম্মদ আবদুল মালেক, মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, মাওলানা আবু হানিফ, মাওলানা মাহবুবুল আলম, মুহাম্মদ সাকিফুল ইসলাম, মুহাম্মদ মারুফুল ইসলাম, হাফেজ মুহাম্মদ সেকান্দর ইসলাম, মুহাম্মদ হাসনাইন রেজা হাসিব, মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক প্রমুখ।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.