এবারের সংগ্রাম ডিম পাওয়ার সংগ্রাম!

0

সিটিনিউজ ডেস্ক :: ‘ডিম চাই, ডিম চাই’’ ‘‘ডিম ছাড়া ফিরবো না ঘরে’’ স্লোগানে মুখরিত হচ্ছে রাজধানীর খামারবাড়ি এলাকা। মাত্র ৩ টাকা পিস ডিম পেতে সেখানে ভিড় জমিয়েছেন লাখো মানুষ। তিন টাকায় ডিম কিনতে শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে লাইনে দাঁড়ানো শুরু করেন তারা। ডিম কেনার লাইনে পুরুষদের সঙ্গে নারীরাও আছেন।

আজ শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় বাজারে ডিমের বিদ্যমান দামের চেয়ে অর্ধেকেরও কম দামে ডিম বিক্রি করা হচ্ছে। অর্থাৎ বাজারে যে ডিম প্রতি পিস ৮ টাকা করে বিক্রি হয়, সেটি মেলায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৩ টাকায়।

আয়োজকরা ২০ হাজার ডিম বিক্রির ঘোষণা দিলেও একপর্যায়ে লাইনে দাঁড়ানো মানুষের সংখ্যা তার চেয়ে বেশি হয়ে যায় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। এত মানুষকে সামাল দিতে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীদের হিমশিম খেতে হয়। একপর্যায়ে ডিম বিক্রি শুরু হয়। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ ডিম না পেয়ে শুরু করেন হৈ-হুল্লোড়।

বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, ডিম শেষ হয়ে গেলেও মানুষের সমাগম এখনো কমেনি। উপস্থিত সবার বক্তব্য প্রায় এক। তাঁরা আয়োজকদের বিষোদ্গার করেন। 

অভিযোগ, ডিমের চেয়েও কয়েক হাজার বেশি মানুষ সেখানে উপস্থিত হয়েছেন। অনেকে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলে বললেন, সরকার ডিমও দিতে ব্যর্থ হয়েছে!

উত্তরা থেকে আসা জাহিদুল বললেন, আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে এসে ডিম দেয়া হচ্ছেনা। সকাল পাঁচটা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও আমি এখনো ডিম পাইনি।

সেখানে তামাশা করেও অনেকে স্লোগান দিচ্ছেন। বেশ জোরেসোরে শোনা গেছে, ‘এবারের সংগ্রাম ডিম পাওয়ার সংগ্রাম।’ অনেকে আবার ব্যস্ত সড়কে এই কর্মসূচির তীব্র সমালোচনাও করেছেন।

মালিবাগ থেকে আসা কবির বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে এই প্রতারণার কোনো মানে হয়? দিতে পারবে না বললেই হতো। আমি যাদের দেখেছি, তাদের অধিকাংশ দোকানদার। আমাদের মতো সাধারণ মানুষ ডিম পেয়েছে বলে জানি না।’

মগবাজার থেকে আসা আকবর জানান, সকাল ১০ টাকা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে, এমনটা জানতাম। কিন্তু ১০টায় শেষ। এটার কোনো মানে হয়?’

বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর তিন টাকা পিস ধরে ডিম বিক্রি করার উদ্যোগ নেয়।

আয়োজকরা জানায়, দেখুন আমরা আগেই বলে দিয়েছি যে, আমরা ২০ হাজার ডিম বিক্রি করব। তাই করেছি। কিন্তু মানুষ শৃঙ্খল না হলে আমাদের কী-ই বা করার আছে।

কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের নিরাপত্তাকর্মী আবদুস সোবহান জানান, ডিম না পেয়ে দোকান থেকে নিয়ে আয়োজকদের দিকে ছুঁড়ে মারেন অনেকে।

কর্তব্যরত পুলিশ কনস্টেবল জলিল আহমেদ জানান, এই পরিকল্পনা সুন্দর কিন্তু পর্যাপ্ত ডিম না থাকায় যা হওয়ার তাই হয়েছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.