মাথাব্যথা নেই সীতাকুণ্ডের আলোচিত ত্রিপুরা পাড়া নিয়ে

0
কামরুল ইসলাম দুলু:: সীতাকুণ্ডের বহুল আলোাচিত সোনাইছড়ির সেই ত্রিপুরা পাড়ার বাসিন্দাদের জন্য সরকারি ভাবে যেসব সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা বিশেষ করে সুপেয় নিরাপদ পানি, রাস্তা মেরামত, শিশুদের জন্য স্কুল, স্বাস্হ্যসন্মত টয়লেট নির্মাণ এবং বিদ্যুতের ব্যবস্হা করার কথা ছিল সেসব কিছুই হয়নি এতদিন পরও।
গত জুলাই মাসে উপজেলার সোনাইছড়ি ত্রিপুরা পাড়ায় হামে আক্রান্ত হয়ে ৯ শিশু মারা যায় এবং আক্রান্ত হয় আরও ১৬০ জন। ঘটনাটি সারাদেশে আলোচিত হয়। এরপর দূর্গম এ এলাকায় সরকারী-বেসরকারী, বিভিন্ন এনজিও সংস্হার ব্যক্তিদের আগমন ঘটে। এছাড়া চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, স্হানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও সহ সবাই এই ত্রিপুরা বাসিন্দাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের আশ্বস দেন।
জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান ত্রিপুরা পাড়ার আদিবাসীদের জন্য এখানে ১০ টি টিউবওয়েল,৩ টি গভীর নলকুপ স্হাপন, স্বাস্হ্য সন্মত টয়লেট নির্মাণ, বিদ্যুৎতের ব্যবস্হ্যা, স্কুল নির্মান করার ঘোষনা দেন কিন্তু এতদিন পরও এ ঘোষণার বাস্তবায়ন হয়নি। ত্রিপুরা পাড়ায় সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, তারা আগের মতোই খালের পানি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করছে। এই পানিতে গোসল,কাপড়-চোপড়, তালাবাসন ধৌত করছে। তারা জানালো প্রথম প্রথম পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি দিলেও এখন আর পাচ্ছি না। যে রাস্তাটি মেরামত করার কথা ছিল সেটারও কাজ শুরু হয়নি। এদিকে নলকুপ স্হাপনের ঘোষণার পরপরই কাজ শুরু করে সীতাকুণ্ড সহকারি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর দপ্তর। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার আগেই চলে গেছে ঠিকাদারের লোকজন।
এ ব্যাপারে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বলছে, পানির স্তর না পাওয়াতেই ঠিকাদারের লোকজন চলে গেছে। তাদের আবারও ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। স্থানীয় বাসিন্দা বলরাম ত্রিপুরা, কাঞ্চন, সুমন ত্রিপুরা সহ অনেকে জানান, ঠিকাদারের লোকজন কাজটি খুব ধীর গতিতে করেছিলো। যার ফলে একমাস কাজ করার পরও তারা কোন লক্ষ্যেই পৌছাতে পারেনি।
তাছাড়া ঠিকাদারের লোকজন খননকৃত পানির কূপের মুখ খোলা রেখেই খননের সরঞ্জাম নিয়ে চলে যায়। ত্রিপুরা পাড়ায় ঘোষণার পরও রাস্তা,স্কুল,বিদুৎ এবং পানির সমস্যা সমাধান না হওয়া প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল ইসলাম ভুইয়া বলেন,ইতোমধ্যে কিছু কাজ সম্পুন্ন হয়েছে, রাস্তা নির্মানের কাজ শুরু হবে এছাড়া স্কুলের জন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছে এখানে বেশ কিছু স্টিক লাইট তথা সৌর বিদ্যুৎতের বাতি লাগানোর বিষয়ে কাজ চলছে। মোটামুটি কিছু দিনের মধ্যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.