যুবলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে জনগণের সুঃখে দুঃখের অংশীদার হতে হবে

0

নিজস্ব প্রতিনিধি,সিটিনিউজ :   বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের উদ্যোগে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালিত হয়। এ উপলক্ষে যুব সমাবেশ চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মো: মহিউদ্দিন বাচ্চু’র সভাপতিত্বে যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকা’র সঞ্চালণায় আজ শনিবার ১১ নভেম্বর সকাল ১০টায় লালদীঘি মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী।

প্রধান অতিথি বলেন, যুবলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে জনগণের সুঃখে দুঃখের অংশীদার হতে হবে। শেখ ফজলুল হক মনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বি এল এফ বাহিনী গঠন করে মুক্তিযুদ্ধের অন্যান্য অবদান রেখেছেন। পরবর্তীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নির্দেশে যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশের বিশাল যুবগোষ্ঠীকে যুব শক্তিকে পরিণত করার লক্ষ্যে ১৯৭২ সনের ১১ নভেম্বর তিনি যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে যুবলীগের নেতাকর্মীরা সব সময় দেশ এবং জাতির উন্নয়নে উন্নত সমাজ বির্নিমানে কাজ করে গেছেন।

তিনি অনন্য মেধার অধিকারী ছিলেন। যুবলীগের নেতাকর্মীদের শেখ মনির জীবনী থেকে শিক্ষা নিতে হবে। শেখ মনি ৭২-৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত কর্মী হিসেবে কাজ করে গেছেন। ঘাতকরা ৭৫‘র কালো রাত্রিতে বাঙালির যুব সমাজের নয়ন মনিকেও হত্যা করেন। ৭৫’র পরেও যুবলীগের নেতাকর্মীরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ করেছেন এবং সারাদেশে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে গেছেন।

জাতির প্রতিটি দুঃসময়ে যুবলীগের নেতাকর্মীদের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য বিশেষ করে ৯০‘র গণ অভ্যুত্থান, ৯৬ এর খালেদা বিরোধী আন্দোলন, ২০০১-২০০৭ সাল জোট সরকার বিরোধী রাজপথের আন্দোলন ও ১-১১ সারা বাংলাদেশে ঘরোয়া রাজনীতিতে যুবলীগের অবদান ছিল অনস্বীকার্য, পরবর্তীতে খালেদা নিজামী কর্তৃক সারা বাংলাদেশব্যাপী পেট্টোল বোমা, জ্বালাও পোড়াও ও ধ্বংসের রাজনীতির বিরুদ্ধে সারা বাংলাদেশে প্রতিবাদের দেওয়াল তুলেছিল যুবলীগের নেতাকর্মীরা। ধর্মের নামে হেফাজতের আন্দোলনকেও সারা বাংলাদেশে যুবলীগের নেতাকর্মীরা প্রতিহত করেছিল। যুবলীগের নেতাকর্মীকে সততার সহিত কাজ করতে হবে।

জনপ্রতিনিধি হয়ে জনগণ বিরোধী কোন কাজ করা যাবে না। জনস্বার্থ বিরোধী কোন কাজ কোন জনপ্রতিনিধি করে থাকলে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য যুবলীগের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে। জনগণের দুর্দশা, দুর্ভোগ বয়ে আনে এমন কোন কাজ কোন প্রতিষ্ঠান করলে তার বিরুদ্ধে আমি প্রতিবাদ করবই। এর জন্য রাজপথে যদি আমার মৃত্যু হয় আমি তা পরোয়া করি না।
সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, যুবলীগ একটি গঠনতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান। গঠনতন্ত্র বিরোধী কোন কাজ কোন নেতাকর্মী করতে পারে না।

যুবলীগের কর্মীকে আদর্শের প্রতি ও নেতৃত্বের প্রতি অনুগত থাকতে হয়। যারা গঠনতন্ত্র বিশ্বাস করে না তারা কোন অবস্থাতেই যুবলীগের কর্মী হতে পারে না। চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ সব সময় মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করে।

সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি আ ম ম টিপু সুলতান চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, মাহবুবুল হক সুমন, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পার্থ সারথী চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, বিজিএমই এর পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. আনোয়ার হোসেন আজাদ, হাফিজ উদ্দিন আনসারী, একরাম হোসেন, আনজুমান আরা আনজু, মশিউর রহমান দিদার, মাহাবুব আলম আজাদ, সাখাওয়াত হোসেন স্বপন, রেজাউল করিম কায়সার, নেছার আহমদ, মাসুদ রেজা, আবু সাঈদ জন, হেলাল উদ্দিন, শহীদুল ইসলাম মকবুল, রওশন উদ্দিন, অধ্যাপক কাজী মুজিব, এস এম সাঈদ সুমন, হাবিবুল্লাহ নাহিদ, নুরুল আনোয়ার, ছালেহ আহমদ দীঘল, আবদুর রাজ্জাক দুলাল, ছাবের আহমদ, নাছের তালুকদার, প্রবীর দাশ তপু, আবদুল আজিম, ওয়াহিদ হাসান, সোহেল রানা, মাঈনুল ইসলাম রাজু, খোকন চন্দ্র তাঁতী, আবু বক্কর চৌধুরী, শেখ নাছির আহমেদ, ওয়াসিম উদ্দিন, নাজমুল হাসান সাইফুল, সনত বড়ুয়া, আবু বক্কর ছিদ্দিকী, দেলোয়ার হোসেন দেলু, হাজী মো: ইব্রাহিম, আলমগীর আলম, মোজাম্মেল হোসেন নান্টু, আজিজ উদ্দিন, ইকবাল ইকরাম শামীম, আমানত উল্লাহ ডিউক, শাহেদুল ইসলাম শাহেদ, সরওয়ার খান, সাজ্জাদ আলী খান বাাহদুর, কাজী রাজেশ ইমরান, কফিল উদ্দিন, কাজল প্রিয় বড়ুয়া, মুজিবুর রহমান মুজিব, আফতাব উদ্দিন রুবেল, শাকিল হারুন, আলাউদ্দিন আলো, হোসেন সরওয়ার্দী সরওয়ার, আসিফ মাহমুদ, ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে বখতিয়ার ফারুক, জসিম উদ্দিন, তারেক ইমতিয়াজ ইমতু, সানাউল্লাহ, মো: হারুন, অধ্যাপক নাজিম উদ্দিন, হাবিব শরীফ, মো: হোসেন, শওকত আলী, আবছার উদ্দিন, আবুল কালাম আবু, আনিসুর রহমান মানিক, মান্না বিশ্বাস, অমল সেন, আতিক উল্লাহ, এড. এস এম রিমু, শাহীন সরওয়ার, মাঈনুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন রাজু, নজরুল ইসলাম, মো: সালাউদ্দিন প্রমুখ।

দিনের কর্মসূচির মধ্যে ছিল সকাল ৬টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও সংগঠনের দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর ও যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনি’র প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, মিলাদ মাহফিল।

যুব সমাবেশ শেষে বেলুন উড়িয়ে আনন্দ র‌্যালী উদ্বোধন করা হয়। বিপুল সংখ্যক মহিলাকর্মী সহ জাতীয় ও দলীয় পতাকা বিশালাকারে দলীয় পতাকা, ফ্যাস্টুন, ব্যানার, ব্যান্ড ও ঢাক-ঢোল নিয়ে আনন্দ উৎসবমুখর পরিবেশে আনন্দ র‌্যালীটি লালদীঘি, কোতোয়ালী, নিউ মার্কেট, আমতল, রাইফেল ক্লাব, শহীদ মিনার, কে.সি.দে রোড, সোনালী ব্যাংক মোড় হয়ে পুনরায় লালদীঘি মাঠে এসে শেষ হয়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.