বাঁশখালীর শেখেরখীলে নকল স্বর্ণ মূর্তি রহস্য : সমঝোতা
বাঁশখালী প্রতিনিধি : বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখীল ইউনিয়নের ৯টি নকল স্বর্ণের মূর্তিসহ ১ ব্যক্তিকে আটক করা হলেও স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে প্রতারক ও প্রতারণার শিকার দুই জনের মধ্যে সমঝোতা হওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
নকল স্বর্ণের ৯টি বুদ্ধ মূর্তিসহ স্থানীয় জনতা বুধবার রাতে উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মাঝির পাড়া এলাকার আলী মিয়ার পুত্র মোঃ হারুন (৪২)কে আটক করে চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে প্রতারক হারুন ও প্রতারণার শিকার নুরুন্নবীর মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে প্রতারিত টাকা উদ্ধারপূর্বক তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনাকে নিয়ে নানা ধরনের রহস্য সৃষ্টি হলেও প্রশাসন এ ব্যাপারে কিছুই জানে না বলে জানান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শেখেরখীল ইউনিয়নের ফকির পাড়া গ্রামের মৃত মোবারক আলীর পুত্র মোঃ নুরুন্নবী বিভিন্ন সময়ে টাকা প্রদান করে পুকুরিয়ার মোঃ হারুনকে স্বর্ণের মূর্তি পাওয়ার আশায়। একে একে ৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা প্রদান করে হারুনকে। সর্বশেষ ওই টাকার প্রেক্ষিতে প্রতারক হারুন ৯টি নকল স্বর্ণের মূর্তিসহ নুরুন্নবীর কাছে এলে তা নকল প্রমাণিত হয়।
টাকা উদ্ধারের জন্য তারা স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় নুরুন্নবীর প্রদানকৃত টাকা ফেরত পাওয়ার ব্যবস্থা করা হলেও প্রশাসনকে এ ব্যাপারে অবহিত করা হয়নি। ঘটনার ব্যাপারে শেখেরখীল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াছিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমার এলাকার নুরুন্নবী প্রতারণার শিকার হয়ে হারুনকে টাকা প্রদান করে স্বর্ণের মূর্তির আশায়।
কিন্তু পাওয়া মূর্তি গুলো নকল হওয়ায় প্রতারক হারুনকে স্থানীয় জনগণসহ আমার কাছে নিয়ে এলে দুই জন এবং তাদের উভয় পক্ষের লোকজনের মাধ্যমে তা সমাধা করা হয়। এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচাজ (ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনা শুনলেও এখনো পর্যন্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়নি। আমি চেয়ারম্যান থেকে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।