চট্টগ্রাম মেডিকেল ছাত্রদের সাথে সংঘর্ষ

0

নিজস্ব প্রতিবেদক,সিটিনিউজ ::নগরীর গোলপাহাড় এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের ৮ শিক্ষার্থীসহ মোট ১০ জন আহত হয়েছে। গতকাল রাত ১০ টার পর মেট্রোপলিটন হাসপাতালের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর পর বিক্ষুব্ধদের একাংশ রাস্তায় মিছিল করে ভাঙচুর চালায়।

এ সময় গোলপাহাড় মোড়, ওআর নিজাম রোড ও সন্নিহিত এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে ওমর গণি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আশফাক নামে এক চিকিৎসকের সঙ্গে মেডিকেলের তিন ছাত্রের ঝামেলা হয়েছিল। তা থেকে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের ভেতর থেকে একজনকে ধরে বাইরে এনে পিটিয়ে আহত করেন মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপ। পরে এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও লোকাল ছেলেরা এক জোট হয়ে তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষকে মারামারি করতে দেখা যায়। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দোকানপাট, ব্যবসা–প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন হাসপাতালের মূল ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়। এ সময় হাসপাতালের বাইরে সাজানো কয়েকটি ফুলের টবও ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধরা। রাতে এ রিপোর্ট লেখার সময় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ(চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম গোলপাহাড় মোড়ে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হওয়ার ঘটনা শুনেছি। এ ঘটনায় আহত কয়েকজন মেডিক্যাল শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু জানাতে পারেননি তিনি।

এ ব্যাপারে নগর পুলিশের উপ কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসেন  বলেন, মেট্রোপলিটন হাসপাতালের এক চিকিৎসকের সাথে চমেকে অধ্যয়নরত ইন্টার্নি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। পরে এটা নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনজন আহত হওয়ার খবর আমরা পেয়েছি। তবে আহতদের কেউ গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নরুল আজিম রনি বলেন, মেডিক্যালের শিক্ষার্থীরা তিনটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে গোলপাহাড় মোড়ে এসে সেখানে অবস্থান করা এক নেতা ও ছাত্রলীগের মিনহাজুল আবেদীন সানিকে ধরে পিটিয়ে আহত করে। ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব থেকে এ মারামারির ঘটনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন রনি।

এ ঘটনায় আহত অন্য দুজন মহানগর ছাত্রলীগের উপসম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন সানি, ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম মাসুম একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন বলে ছাত্রলীগের এক নেতা জানিয়েছেন।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.