সিটিনিউজবিডি : এবার অন্তত ২০ হাজার লোকের হজযাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন হজযাত্রী কল্যাণ সংস্থার নেতৃবৃন্দ। এক্ষেত্রে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব, যুগ্ম সচিব এবং অসাধু কিছু হজ এজেন্সির যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ সংস্থাটির।
রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়টি তুলে ধরেন সংগঠনের চেয়ারম্যান এইচএম মজিবুল হক শুক্কুর। তিনি অভিযোগ করেন, গত ১৯ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি এই তিন দিনে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব চৌধুরী মোহাম্মদ বাবুল হাসান, যুগ্ম সচিব হাসান জাহাঙ্গীর আলম এবং অসাধু কিছু এজেন্সি মালিকের যোগসাজশে ভুয়া হজযাত্রী নিবন্ধন করা হয়েছে। এরফলে সারাদেশের ৩৫০টি হজ এজেন্সির অধীনে প্রায় ২০ হাজার যাত্রী নিবন্ধন বঞ্চিত হয়েছেন।
এর মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রামের প্রায় দেড় হাজার হজ গমনেচ্ছু মানুষ। তাদের হজযাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে হজযাত্রী কল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান জানান, ২০১৪ সালের ১০ ডিসেম্বর ঘোষিত হজ প্যাকেজে ১০১৫ সালের জন্য বাংলাদেশ থেকে সরকারীভাবে দশ হাজার এবং বেসরকারীভাবে ৯১ হাজার ৭৫৮ জন হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে গমন করতে পারবেন বলে জানানো হয়। পরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কয়েক দফা নির্দেশনা হজ এজেন্টদের আগে মোয়াল্লেম ফি জমা এবং পরবর্তীতে হজযাত্রী নিবন্ধনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। মোয়াল্লেম ফি জমা দেয়ার শেষ সময় নির্ধারণ করা হয় ১ মার্চ ২০১৫। কিন্তু হঠাৎ ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় চিঠি দিয়ে জানানো হয়, ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে বেসরকারী হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হবে।
এ সুযোগে অনেক ভুয়া নিবন্ধন হয় এবং অনিশ্চিত হয়ে পড়ে বিভিন্ন এজেন্সির প্রায় ২০ হাজার মানুষের হজযাত্রা। সংবাদ সম্মেলন থেকে ভুয়া নিবন্ধনগুলোর কোটা শূন্য ঘোষণা করে ২০ হাজার মানুষের হজযাত্রা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। এক্ষেত্রে ৪০ বছরের নিচের এবং ৫ বছরের মধ্যে যারা দু’বার হজে যাচ্ছেন তাদের পরের বছরের জন্য অপেক্ষমান রেখে চল্লিশোর্ধ যাত্রীদের অগ্রাধিকার অনুরোধ জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এ্যাসোসিয়েসন অব ট্রাভেলস এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) কার্যকারী সদস্য শাহ আলম, হজযাত্রী কল্যাণ সংস্থার বাংলাদেশের ভাইস চেয়ারম্যান হাফেজ মোহাম্মদ আমিন, সচিব কাজী জসিম উদ্দিন, সহকারী সচিব সৈয়দ মো. শামসুদ্দিন হাবীবী, হজ এজেন্সিজ এসোসিয়েসন অব বাংলাদেশ (হাব) সদস্য সচিব আবদুল করিম প্রমুখ