‘জশনে জুলুস’ রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপনের দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক: মহান ১২-ই রবিউল আউয়াল সরকারিভাবে ‘জশনে জুলুছ’ উদযাপনের দাবি জানিয়েছে আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট। একইসঙ্গে যেসব জাতীয় ও ধর্মীয় দিবসে কয়েদি মুক্তির বিধান রয়েছে সেসব দিবসের সঙ্গে ঈদে মিলাদুন্নবী দিবসকে অন্তর্ভূক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনের প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন্স সেক্রেটারি অধ্যাপক কাজী শামসুর রহমান। ৯(২৯ নভেম্বর) এবং ১২ (২ ডিসেম্বর) রবিউল আওয়াল ঢাকা ও চট্টগ্রামে জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন উপলক্ষ্যে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রতি বছরের মতো এবারও আগামী বুধবার (২৯ নভেম্বর) ঢাকায় এবং শনিবার (২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে পবিত্র জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবীর আয়োজন করা হয়েছে। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট’র উদ্যোগে গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ’র তত্ত্বাবধানে জুলুছে নেতৃত্ব দেবেন আওলাদে রাসুল সৈয়দ মোহাম্মদ তাহের শাহ(ম.জি.আ)। উপস্থিত থাকবেন শাহজাদা সৈয়্যদ মোহাম্মদ কাসেম শাহ(মাজিআ) ও শাহজাদা সৈয়্যদ মোহাম্মদ হামেদ শাহ (মাজিআ)।
বুধবার সকাল ৮টায় ঢাকা মোহাম্মদপুর কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে জুলুস বের করা হবে। রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মাদ্রাসা মাঠে সমাবেশ ও মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে।
শনিবার সকাল ৮টায় বন্দর নগরী চট্টগ্রামের ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা থেকে জুলুছ বের হবে। বিবিরহাট, মুরাদপুর, কাতালগঞ্জ, চকবাজার, চন্দনপুরা, সিরাজুদৌলা রোড হয়ে আন্দরকিল্লা, মোমিন রোড, জামালখান, গণি বেকারি প্রদক্ষিণ করে পুনরায় চকবাজার, কাতালগঞ্জ, মুরাদপুর হয়ে জায়েমা আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে সমাবেশ, আলোচনা সভা ও যোহরের নামাজের পর মুনাজাত শেষে অনুষ্ঠানের সমা্প্তি ঘটবে।
জুলুসে ডেকসেটসহ সব ধরনের বাধ্যযন্ত্র, হুজুর কেবলার ছবি কিংবা ছবি সংবলিত ম্যাগাজিন, ট্যাবলয়েট ম্যাগাজিন, মাসিক পত্রিকা বিক্রি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সৈয়দ অছিয়র রহমান আলকাদেরি, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক দিদারুল ইসলাম, গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ কমিশনার, ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোসাহেব উদ্দিন বখতিয়ার, মাহবুবুল হক খাঁন, গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ এরশাদ খতিবী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।