সিটিনিউজবিডি : বছরের পঞ্চম শিরোপা জিততে হলে লুইস এনরিকের শিষ্যদের একশো আশি-ডিগ্রি ঘুরে দাঁড়াতে হবে। অন্যদিকে উল্টো চিত্র অ্যাথলেটিক বিলবাও শিবিরে। প্রথম লেগে বার্সেলোনাকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে স্বস্তিতেই আছে তারা।
সত্যিই কি স্বস্তিতে? ইতিহাস বলছে বার্সা ঘুরে দাঁড়াতে জানে। গত মৌসুমেই তো চার বা তার বেশি গোলে ১৮টি ম্যাচ জিতেছে বার্সা। আজ সংখ্যাটা আরেকধাপ বাড়ালেই চলবে। বিলবাও সেখানে চাইবে মাত্র একটি গোল। তাতেই যে স্প্যানিশ সুপার কাপের লক্ষ্যটা মেসি-সুয়ারেজদের প্রায় ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে।
তখন যে বিলবাওয়ের প্রতি গোলের বিপরীতে দুটি করে গোল করতে হবে বার্সাকে। আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে ম্যাচটা কাতালানদের জন্য মিশন ইমপসিবল। বার্সেলোনার মাঠ ন্যু ক্যাম্প সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় শুরু হবে স্প্যানিশ সুপার কাপের দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচটি। গত শুক্রবার বিলবাওয়ের মাঠে একাদশে বেশ পরিবর্তন এনেছিলেন এনরিকে। সেদিন রক্ষণ, মাঝমাঠ, আক্রমণ’সহ সব বিভাগে পিছিয়ে ছিল বার্সা। যার ফলে সোমবার জিততে হবে কমপক্ষে ৫-০ ব্যবধানে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া বার্সা অবশ্য এখনো শিরোপার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।
ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে তারা। আক্রমণে মেসি-সুয়ারেজের উপস্থিতিই তাদের সে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। যাতে আবার বাধা হয়ে দাড়াতে পারে গত দুই ম্যাচে ৮ গোল হজম করা রক্ষণ। গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচেও এনরিকের দলে নেইমারের শূন্যতা থেকে যাচ্ছে। অসুস্থতার কারণে ঘরের মাঠেও নামা হচ্ছে না ব্রাজিল তারকার। তাই সতর্কতার কমতি নেই কোচ এনরিকের। এই প্রতিযোগিতায়ই ২০১০ সালে সেভিয়ার বিপক্ষে প্রথম লেগে ৩-১ গোলে হেরেছিল বার্সা। কিন্তু ফিরতি লেগে ৪-০ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় কাতালানরাই।
ঘরের মাঠে অবিস্মরণীয় সেই জয়ে হ্যাটট্রিক করেছিলেন ফুটবল জাদুকর মেসি। সোমবার রাতেও আর্জেন্টাইন তারকার দিকেই তাকিয়ে থাকবে কাতালান শিবির।