বেঈমানরা শোকাহত দিবসে আনন্দ উল্লাস করেন – স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম

0

চট্টগ্রাম অফিস  :   বাঙালী জাতির দুর্ভাগ্য, আমরা আমাদের জনককে হত্যা করেছি।  এদেশে কিছু বেঈমান আছে।  যারা জনকের  জন্য শোকাহত দিবসে আনন্দ উল্লাস করেন।  কেক কেটে ফুর্তি করেন।  এর চেয়ে লজ্জাজনক কিছু হতে পারে না  মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের  সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

সোমবার বিকালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শাহ আলম বীর উত্তম মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ আয়োজিত আলোচনায় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বলেন,   শোক দিবসে যারা কেক কেটে আনন্দ উল্লাস করে তারা বেঈমান , দুনিয়ার সব দেশে তার জনককে শ্রদ্ধা করা হয়।  মাও সেতুংকে বাদ দিয়ে চীনের ইতিহাস কখনো লেখা হয়নি, লেখা হবে না।  ভারতের মাহাত্মা গান্ধীকে দলমত নির্বিশেষে সবাই শ্রদ্ধা করে।  কারন তিনি জাতির জনক।  ইন্দোনেশিয়ায় স্বাধীনতার মহানায়ক সুকর্ণ।  গৃহবন্ধী অবস্থ‍ায় মারা যান তিনি।  তখন তার সহকর্মী সুহার্ত ক্ষমতায় ছিল।  কিন্তু স্বাধীনতা দিবসে সুহার্ত নিজে সে বন্দী সুকর্ণকে শ্রদ্ধা জানাতো।  কারণ তিনি স্বাধীনতার মহানায়ক।

তিনি বলেন,‘একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী তিনি জেনে শুনে এ শোকাহত দিবসে কেক কাটেন। গতকালকেও(১৫ আগস্ট) তিনি কেক কেটেছেন।  এর চেয়ে লজ্জাজনক কিছু হতে পারে না।  জন্মদিন হোক বা না হোক।  একজন মহানায়কের শোকাহত দিবসে তিনি কিভাবে আলোকসজ্জা করে উৎসব করতে পারেন?’

আওয়ামী লীগের এ প্রবীণ নেতা বলেন,‘বেগম জিয়ার এ ধরণের লজ্জা জনক কাজের বিচার বাংলার জনগণ নিশ্চয় করবে।  আগামী ২০১৯ সালের নির্বাচনে বাংলার জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে এ লজ্জাজনক কাজের জবাব দেবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রপতি জন এফ কেনেডির উদ্বৃতি দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,‘ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।  একটি জাতির পতন হতে পারে।  আদর্শের কোন মৃত্যু নেই।’

তিনি বলেন,‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে আমরা হারিয়েছি।  ব্যক্তি মুজিব আমাদের মাঝে নেই।  কিন্তু তার আদর্শ চিরঞ্জীব।  বাংলার জনগণের হৃদয়ে তা আছে।  বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে বাঙালি জাতি শোক করেছে।  এখনো শোক করে যাচ্ছে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,‘শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে বিনাযুদ্ধে, বিনা রক্তপাতে মায়ানমার ও ভারতের কাছে সমুদ্র জয় করেছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।  প্রায় ৪০ বছর আগের অমীমাংসিত বিষয় ছিল ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির বাস্তবায়ন।  শেখ হাসিনা আলোচনার টেবিলে বসে সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে প্রায় ৪১ বছর পরে বাংলাদেশের মানচিত্রকে পূর্ণাঙ্গ করেছে। ’

অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন,‘একাত্তরের পরাজিত শক্তিরাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে।  স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারের হত্যা করা হয়েছে। ’

তিনি বলেন,‘বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে সোনার বাংলাদেশের জন্য ৪৫ বছর অপেক্ষা করতে হতো না।’

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জমান ভূঁইয়া ডাবলু, স্বাচিপের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সনাল ও বিএমএ চট্টগ্রামের সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান।

স্বাধীনতা চিকি‍ৎসক পরিষদ চট্টগ্রাম জেলার আহবায়ক ডা. শেখ শফিউল আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিএমএ চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ শরীফ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.