বিশ্ব এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পথে

0

চট্টগ্রাম :  বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মাননীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, বিশ্ব এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পথে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির হাত ধরে এই বিপ্ল্ব এগিয়ে যাচ্ছে। উদ্ভাবন হচ্ছে এর মূল চালিকাশক্তি। তথ্যপ্রযুক্তি বর্তমান সময়ের উন্নয়নের বড়শক্তি হিসেবে আর্বিভূত হয়েছে। তিনি অদ্য ১০ ডিসেম্বর রোববার চট্টগ্রাম নগরীর মোটেল সৈকতে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে দ্বিতীয়বারের মত “ফিজিক্স ফর সাসটেইন্যাবল ডেভেলপমেন্ট এন্ড টেকনোলজি (ICPSDT-2017)” শীর্ষক দুইদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে। সেজন্য টেকসই উন্নয়নের বিকল্প নেই। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু হচ্ছে টেকসই উন্নয়ন। পৃথিবীর সব উন্নত দেশ তাদের শিল্পায়ন ও নগরায়নের জন্য টেকসই প্রযুক্তিকে বেছে নিচ্ছে। বাংলাদেশেও এখন টেকসই উন্নয়নকে খুব গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। চুয়েটের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্স থেকে টেকসই উন্নয়ন ও প্রযুক্তি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা পাওয়া যাবে বলে আমরা আশাবাদী।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং কনফারেন্স চেয়ার অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে উক্ত কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম মহোদয়। এতে গেস্ট অব অনার ছিলেন চুয়েটের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. রনজিৎ কুমার সূত্রধর, কনফারেন্সের টেকনিক্যাল চেয়ার ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুর রশীদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কনফারেন্স সেক্রেটারি ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বেলাল হোসেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, পদার্থ বিজ্ঞান হচ্ছে অধিকাংশ বিজ্ঞানের মৌলিক ভিত্তি। অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম ডিসিপ্লিন কৃষি, স্বাস্থ্য, এনার্জি ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে পদার্থ বিজ্ঞান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। চুয়েটের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে দ্বিতীয়বারের মত এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আয়োজিত হচ্ছে। এ ধরনের সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ কনফারেন্স আয়োজনের জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

এবারের কনফারেন্সে বাংলাদেশ ছাড়াও সুইডেন, জাপানসহ পৃথিবীর ৯ টি দেশ হতে পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ের অন্তত দেড় শতাধিক শিক্ষক, গবেষক, বিজ্ঞানী, প্রফেশনাল এবং উদ্যোক্তাগণ অংশগ্রহণ করছেন। কনফারেন্সে পদার্থ বিজ্ঞানের বিষয়ের পাশাপাশি প্রযুক্তি সর্ম্পকিত তথা বর্তমান বিশ্বের আলোচিত ইস্যু ‘টেকসই উন্নয়ন ও প্রযুক্তি’ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধসমূহ উপস্থাপিত হচ্ছে।

কনফারেন্সের প্রথমদিন কী-নোট স্পীকার হিসেবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- সুইডেনের উপশালা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পার নরদব্লাদ (Prof. Per Nordblad), জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাতোশি ওয়াতাউছি (Prof. Dr. Satoshi Watauchi)। কনফারেন্সের দ্বিতীয়দিন কী-নোট স্পীকার হিসেবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন- জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. মাসানোরি নাগাও (Prof. Dr. Masanori Nagao), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নাকিব, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম।

কনফারেন্সে স্পন্সর হিসেবে থাকছে- ওভারসীজ মার্কেটিং কর্পোরেশন (প্রা.) লিমিটেড, সেনসর ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ এডভান্সড টেকনোলজিস লিমিটেড, মাল্টি টেক ইঞ্জিনিয়ারিং, এলিট পেইন্ট এবং টেকনোওয়ার্থ এসোসিয়েটস লিমিটেড।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.