নেতা সৃষ্টির কারিগর ছিলেন মহিউদ্দিন চৌধুরী

0

নিজস্ব প্রতিবেদক::বীর চট্টলার গণ মানুষের নেতা, চট্টগ্রামবাসীর প্রাণপ্রিয় অবিভাবক, অধিকার আদায়ের আপোষহীন নেতা, নগর আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুতে লালদিঘী মাঠে জানাযায় লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতিতে বুঝা যায় চট্টগ্রামবাসীর হৃদয়ের মণিকৌটায় ছিলেন এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) নগরীর কাজির দেউড়ীস্থ সমাদর কমিউনিটি সেন্টারে আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর রুহের মাগফেরাত কামনায় পবিত্র খতমে কোরআন ও মিলাদ মাহফিলে নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সমাজসেবক ফরিদ মাহমুদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ, যুবলীগ, মুক্তিযুুদ্ধে অংশগ্রহণ, ৭৫‘এ বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধে রাজনীতি, পরবর্তীতে নগর আওয়ামী লীগের দায়িত্বে এবং সর্বোপরি নাগরকি সেবায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের টানা তিনবার মেয়র নির্বাচিত। এসব দায়িত্বগুলো তিনি নিষ্ঠার সাথে পালন করেন। একটি উদাহরণস্বরূপ নগরীতে পোর্ট কানেক্টিং রোড, আগ্রাবাদ এক্সসেস রোড, জাকির হোসেন রোড এ তিনটি রাস্তা প্রশস্থকরণে নগরীতে ৬০% যানজটমুক্ত শহর হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্যে অভূতপূর্ব সাফল্যে নগরবসী আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে চিরদিন স্মরণ করবে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নগরবাসীর খেদমতে খাজা গরীবউল্লাহ শাহ (রহ.) মাজার এবং মসজিদ আধুনিকায়ন, চকবাজার অলি খাঁ বেগ মসজিদ আধুনিকায়ন, চশমা হিল শেখ ফরিদ জামে মসজিদ আধুনিকায়ন, মেয়র হজ্ব কাফেলায় হাজ্বী সাহেবদের খেদমতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন।

রাজনৈতিক এর পাশাপাশি তিনি সমাজসেবায় সাফল্যে বর্তমানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত প্রিয় নেতার পথ অনুসরণ করে আজ অনেক নেতাকর্মী সমাজসেবায় অবদান রাখছেন। মহিউদ্দিন চৌধুরীর কর্মপ্রন্থাগুলো সাফল্যের শিক্ষা নিতে পারলে নেতাকর্মীরা সমাজ বা রাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বঙ্গবন্ধুর স্নেহভাজন হিসেবে মহিউদ্দিন চৌধুরী অত্যন্ত সফলতার সাথে রণাঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে ঘোষণার পর থেকে দেশী-বিদেশী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দায়িত্বে পালনে মহিউদ্দিন চৌধুরীর ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়।

সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মহানগর নগর যুবলীগের সদস্য শেখ নাছির আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন নগর যুবলীগ সদস্য নেছার আহমদ, এস এম সাঈদ সুমন, ওয়াহিদ হাসান, মহানগর যুবলীগ নেতা আশরাফুল গণি, বখতেয়ার ফারুক, নগর যুবলীগ সদস্য দেলোয়ার হোসেন দেলু, হাজী মো: ইব্রাহিম, কাজী রাজেশ ইমরান, হোসেন সরওয়ার্দী, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সরওয়ার আলম মনি, সাহেদ মুরাদ সাকু, ১৮নং ওয়ার্ড যুবলীগ আহ্বায়ক মো: সেলিম উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম, ২১নং জামালখান ওয়ার্ড যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল হান্নান, মহানগর যুবলীগ নেতা জহির উদ্দিন সুমন, শেখ বশির আহমেদ, এম এ হাসেম বাবু, আলহাজ্ব জাবেদ হোসেন, দুলাল আবরাহ, নজরুল ইসলাম, হারুন অর রশিদ আলম, রাশেদ চৌধুরী, মো: দেলোয়ার, রহিমদাদ খান বাদশা, ইমরান আলী রাজু, জাহিদুল ইসলাম সুমন, আশরাফ উদ্দিন টিটু, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য নাজমুস সাকিব, নগর ছাত্রলীগ সহ সভাপতি নাজমুল হাসান রুমি, ছাত্রনেতা শহিদুল ইসলম শহিদ, যুবনেতা ইয়াছিন ভূইয়া, মো: সালাউদ্দিন, মঞ্জুরুল আলম রিমু, আমিনুল ইসলাম আজাদ, মো: আলমগীর, মো: নুরুজ্জামান, আবু বক্কর সিদ্দিকী পলাশ, মাকসুদ জামিল মারুফ, শেখ মহিউদ্দিন, এস এম তানভীর হাসান, রিমন পাটান, আশরাফুল আলম সিদ্দিকী, আবদুল মুকিত, ওমর ফারুক ফয়সাল, বন্ধন সেন, আশেক ইলাহী , মো: রকি, মো: রুবেল, এনামুল হক। বাদ মাগরিব হইতে ১১ জন হাফেজগণের মাধ্যমে পবিত্র খতমে কোরআন এবং মিলাদ মাহফিল ও মুনাজাত পরিচালনা করেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলী মাদ্রাসার মেধাবী ছাত্র ঝাউতলা রেলওয়ে জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আলহাজ্ব আবুল হাসান।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.