ভারত থেকে গরুর মাংস আমদানির প্রস্তাব নাকচ

0

সিটিনিউজ ডেস্ক :: ভারত থেকে গরুর মাংস আমদানির জন্য বাংলাদেশের কিছু ব্যবসায়ীর এক প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের সচিব মাকসুদুল হাসান খান বলেছেন, এই আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই এবং এতে দেশের পশু খামারিরা সঙ্কটে পড়বেন। তারা তাদের আপত্তির কথা লিখিতভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দিয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সমিতি এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, বাজারে গরুর মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের আমিষের চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে গরুর মাংস আমদানি একটি বাস্তবসম্মত সমাধান হতে পারে। এ ব্যাপারে সরকারও যথেষ্ট উৎসাহী।

কিন্তু তার এই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পর প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করে যে, তারা এ ধরণের মাংস আমদানির বিপক্ষে। মাকসুদুল বলেন, গত দু-তিন বছরে বাংলাদেশ মাংস উৎপাদনে অসামান্য উন্নতি করেছে। বর্তমানে বছরে বাংলাদেশের মাংসের চাহিদা ৭০ লাখ টন যার পুরোটাই এখন দেশে উৎপাদিত হচ্ছে। ফলে মাংস আমদানি করলে এই খাত সঙ্কটে পড়বে।

তিনি বলেন, আমদানির বদলে আমরা এখন বরং মাংস রফতানির সুযোগ খুঁজছি। মান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এখনো আমাদের কিছু সমস্যা রয়েছে, সেদিকে নজর দেয়া হচ্ছে।

ভারত প্রতি বছর ৭০টির মতো দেশে ১০ লাখ টন প্রক্রিয়াজাত মাংস রফতানি করে ৪০০ কোটি ডলার আয় করে। ভারতের মাংস রফতানিকারকদের সমিতির প্রধান ফাওযান আলাভি বলেছেন, ভারত থেকে রফতানি করার মাংসের ১০০ ভাগই মহিষের মাংস, এক গ্রামও গরুর মাংস নয়।

ভারত থেকে গরু বা গরুর মাংস রফতানি নিষিদ্ধ। ভারতে হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে মহিষের মাংস রফতানিও দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে বলে সেদেশের ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন।

বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ভারত থেকে গরুর মাংস আমদানির কথাই ভাবা হচ্ছে এবং সেটা সম্ভব।

কিন্তু ফাওযান আলাভি বলেছেন, বাংলাদেশ যদি ভারত থেকে মাংস আমদানি করে, সেটা অবশ্যই মহিষের মাংস হবে। কেউ কেউ এই মাংসকেই বিফ বলে, কিন্তু এটি গরুর মাংস নয়, মহিষের মাংস।

তিনি আরো বলেন, সেই মহিষের মাংসও বাংলাদেশে রফতানি সম্ভব নয়। যদি না বাংলাদেশ সরকার প্রক্রিয়াজাত মাংসের ওপর আমদানি কর না তোলে।

ফাওয়ান বলেন, বাংলাদেশ মাংসের জন্য বড় বাজার। আমাদের ধারণা বাংলাদেশে প্রতি মাসে কমপক্ষে ১০০০ টন মাংস রফতানি সম্ভব। ভারতের রফতানি করা মাংসের পুরোটাই হালাল। কিন্তু বাংলাদেশে যদি তাদের ৪০ শতাংশ আমদানি কর না ওঠায়, তাহলে সেই রফতানি একবারেই লাভজনক হবে না। সূত্র: বিবিসি

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.