কোচিং বাণিজ্য বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিবেদক,সিটিনিউজ :: শিক্ষা-ব্যবসা বিরোধী সচেতন অভিভাবকবৃন্দ-চট্টগ্রাম এর পক্ষ থেকে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করে স্কুলকে শিক্ষার মূল কেন্দ্রে পরিণত করার দাবিতে বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় চেরাগী মোড় চত্বরে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ করা হয় ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন অভিভাবক মহুয়া ভট্টাচার্য, পরিচালনা করেন পাঠাগার সংগঠক সানি চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন, ডাঃ রত্না বৈষ্ণব, ডাঃ সুশান্ত বড়ুয়া, অভিভাবক ঝুলন চৌধুরী, মোঃ জাহেদ ও মুক্তা ভট্টাচার্য প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, “আমরা অভিভাবকেরা আমাদের সন্তানদের শিক্ষা জীবন নিয়ে চরম উদ্বিগ্নতার মধ্যে আছি। একদিকে শিক্ষার খরচ বাড়ছে অন্যদিকে বাড়ছে পরীক্ষা ও পড়ার চাপ। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো স্কুলে পড়াশুনা হয় না ফলে সিলেবাস শেষ করা, ভালো ফলাফল করার জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে কোচিং সেন্টারগুলোর উপর। সেই সুযোগে কোচিং সেন্টারগুলো করছে বাণিজ্য।
স্কুল যদি একজন শিক্ষার্থীর পড়াশুনা একশ’ভাগ নিশ্চিত করতে পারত তাহলে কোচিং প্রভাব বিস্তার করতে পারত না। এছাড়া চট্টগ্রাম নগরীতে মাধ্যমিক পর্যায়ে সরকারি স্কুল স্বল্প হওয়ার দরুণ প্রতিবছর স্কুল ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কোচিং সেন্টারগুলো বিশাল অংকের ব্যবসা করছে।
কোচিং সেন্টারগুলো প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য প্রশ্নফাঁস, ফলফাঁস সহ নানা রকম দূর্নীতি করছে। স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই, সেই কারণে ক্লাসগুলো ঠিকমত হয় না। আমাদের সন্তানদের স্কুলেও উপস্থিত থাকতে হয় আবার কোচিং ক্লাসেও পড়াতে হয় বাধ্যতামূলকভাবে। তাই পড়াশুনার বাইরে তাদের খেলাধুলা বা অন্য কোন সৃজনশীল আয়োজনে থাকা সম্ভব নয়। আমরা উদ্বিগ্ন যে আমাদের শিশুদের শৈশব হারিয়ে যাচ্ছে।”
বক্তারা আরো বলেন, “প্রতি বছর স্কুলগুলো ভর্তি ও পুনঃভর্তির নামে অতিরিক্ত ফি আদায় করছে। সেই সাথে কোচিং গাইড ইত্যাদি আনুষাঙ্গিক খরচে অভিভাবকদের উপর বাড়তি চাপ পড়ছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যয়বৃদ্ধি ও দূর্নীতি শিক্ষার নৈতিক মানকে ধ্বসিয়ে দিচ্ছে। সর্ব ক্ষেত্রে শিক্ষা ব্যবসা ও কোচিং ব্যবসা বন্ধ করে স্কুলকে শিক্ষার মূল কেন্দ্রে পরিণত করার জন্য অভিভাবকদের ঐক্যবদ্ধ করা উচিৎ।”
সমাবেশ শেষে একটি প্রতিনিধি দল সহকারি কমিশনার মোঃ রমিজ আলমের মাধ্যমে উক্ত দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ করে।