ফরিদ মাহমুদের প্রতিক্রিয়া

0

সিটি নিউজ ডেস্ক : মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রীসভার মন্ত্রী। চট্টগ্রামের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যাক্তি মরহুম জননেতা জহুর আহমেদ চৌধুরী । তাঁর সুযোগ্য পুত্র মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনোনীত করায় নগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে আমি ফরিদ মাহমুদ অত্যন্ত আনন্দিত ।

মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী একজন ত্যাগী, সদামিশুক মানুষ হিসেবে চট্টগ্রামের আওয়ামী পরিবারের সকলের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র । আমি মনে করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সময়োচিত সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ঐক্যের প্রতীক হিসেবে মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী সবাইকে নিয়ে সকল মতানৈক্য দূর করে সংগঠনকে গতিশীল করে আগামী নির্বাচনে দলকে ক্ষমতায় নেয়ার জন্য বলিষ্ঠ ভুমিকা পালন করবেন । আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনের দায়িত্বশীল একজন সহকর্মী হিসেবে তিনি আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা পাবেন ।

চট্টগ্রামের অবিসংবাধিত নেতা আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর একজন কর্মী হিসেবে আমি বিগত ২৫ বছর ধরে ওনার সাথে রাজনীতি করেছি । ভবিষ্যতে যতদিন বেঁচে থাকবো উনার আদর্শ বাস্তবায়ন করার জন্য সততা, নিষ্ঠা এবং নীতির প্রতি অবিচল থেকে কাজ করে যাব ইনশআল্লাহ ।

কিন্তু দু:খ ও অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় “চট্টগ্রাম নগর আওয়ামীলীগে নতুন কমিটি আসছে” শীর্ষক সংবাদটি সম্প্রতি সিটিনিউজে(ctnewsbd.com) প্রকাশিত হওয়ায় পর মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী সম্পর্কে যে ভাষায় বর্ণনা করা হয়েছে তাতে চট্টগ্রাম আওয়ামী ঘরনার সৌম্য, মার্জিত, সৃজনশীল, ত্যাগী এবং পরীক্ষিত নেতা কর্মীদেরকে খুব আহত করেছে এবং আমি নিজেও এ বিষয়ে অত্যন্ত ব্যাথিত ।

কিশোর বয়স থেকে আমি আমার পরিবারের সাথে জননেতা জহুর আহমেদ চৌধুরীর বাসায় যেতাম । আমার বাবা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে পাক হানাদার বাহীনীর গুলিতে শহীদ হওয়ার পর থেকে আমার মায়ের সাথে নিয়মিত উনাদের বাসায় আমার যাতায়াত ছিল । আমরা পারিবারিকভাবে যখন খুব সংকটে ছিলাম, জননেতা জহুর আহমেদ চৌধুরী আমাদের পরিবারকে অনেক সহযোগিতা করেছিলেন । সে ঋণ কখনো শোধ হবার নয় ।

ছোটকালে মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী আমাকে খুব আদর করতেন। এখনো তিনি আমাকে প্রচন্ড ভালোবাসেন । উনার দূর্দিনে যখন খুব কম সংখ্যক নেতাকর্মী উনার সাথে যোগাযোগ রাখতেন তখন আমি উনার নিয়মিত খোজ খবর রাখতাম । উনি আমাকে পিতার মতো স্নেহ করেন। বিভিন্ন সময় চট্টগ্রাম নগর আওয়ামীলীগে নানান রাজনৈতিক মেরুকরনের ফলে বিভিন্ন নেতার সাথে যখন উনার তিক্ত সম্পর্ক সে সময়ও উনার সাথে আমার যোগাযোগ ছিল।কে কি ভাবছে আমি পরোয়া করতাম না। কেননা আমার সাথে উনার সম্পর্ক রাজনীনৈতিক নয়, পারিবারিক ।

ছাত্রজীবন থেকে আমি কখনো বয়োজেষ্ঠ্য নেতাদের সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করিনি। রাজনৈতিক সহযোদ্ধা, প্রতিদ্ধন্ধি রাজনীতিবিদ, এমনকি কর্মীদেরকে নিয়েও আমি কখনো বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করিনি ।

পদ পদবীর জন্য আমি কখনো মরিয়া ছিলাম না। বরঞ্চ সংগঠনের কথা বিবেচনা করে, আমি জীবনে অনেকবার নিজের স্বার্থকে জলাঞ্জলী দিয়েছি । আমি কর্মে বিশ্বাস করি। একমাত্র কর্মই মানুষকে তার যথাযোগ্য আসনে অধিষ্ঠিত করে।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী যে কাউকে যে কোন পদে অধিষ্ঠিত করতে পারেন।বঙ্গবন্ধুর একজন কর্মী হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিটি সিদ্ধান্তের প্রতি অনুগত থেকে আমি ভবিষ্যতে সংগঠনের কাজ করে যাব।

ফরিদ মাহমুদ
যুগ্ম আহবায়ক,চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.