‘আমি পুলিশ নই, পাবলিক’

0

বোয়ালখালী প্রতিনিধি:  বোয়ালখালীতে পুলিশ পরিচয়ে গাড়ির গতিরোধ করে কাগজপত্র যাচাই বাছাই করেন মো. রিপন নামের এক যুবক। মাদক দ্রব্য দিয়ে সাধারণ মানুষকে ব্ল্যাক মেইল করে টাকা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে এ যুবকের বিরুদ্ধে।

সন্দ্বীপ বাড়ি হলেও চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানা পুলিশের প্রায় কর্মকর্তার সাথে রয়েছে তার সখ্যতা। এ সুবাদে বোয়ালখালীতে গাড়ির কাগজপত্র যাচাই বাছাই ছাড়াও সাধারণ মানুষদের হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কোমড়ে হ্যান্ডকাপ থাকে বলেও জানান ভুক্তভোগীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রিপন সন্দ্বীপের বান্সিদা। সে পেশায় একজন সিএনজি চালক। বোয়ালখালী উপজেলায় সে দীর্ঘদিন ধরে বাসা ভাড়া নিয়ে রয়েছেন।

অটো-রিকশা চালকরা জানান, উপজেলার গোমদ-ী ফুলতল, শাকপুরা চৌমুহনী,বেঙ্গুরা,দাসেরদিঘীসহ বেশ কয়েকটিস্থানে দেখা মেলে প্রতিদিন। কোমড়ে থাকে হ্যান্ডকাপ। পুলিশ পরিচয়ে গাড়ির কাগজপত্র যাচাই করেন তিনি। কাগজপত্র না থাকলে চাওয়া হয় নির্ধারিত ৩শত টাকা মূল্যের টোকেন। অন্যথায় পুলিশে খবর দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার ভয় দেখান। নয়তো টাকা দাবি করে রিপন। এ কাজ গত কয়েকমাস ধরে করছেন বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনচ্ছিুক একাধিক ব্যক্তি জানান, সাধারণ মানুষকে মদ, গাঁজা ও ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয় রিপন। এরপর ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায়ে পুলিশকে সহযোগিতা করে রিপন।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিমাংশু কুমার দাস রানা বলেন, এ ধরণের কোনো ব্যক্তি থানায় কর্মরত নেই। তবে এ কর্মকান্ডের বিষয়ে তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

থানার উপ-পরিদর্শক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, রিপন নামের একটা ছেলে ট্রাফিক মান্নানের সাথে থাকে। তাকে ডেকে সর্তক করে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি। রিপনের কাছে হ্যান্ডকাপ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা বলেন, হ্যান্ডকাপ রাখার কোনো সুযোগ নেই। এ ধরণের তথ্য পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে রিপন জানান, ‘আমি পুলিশ নই, আমি পাবলিক। তবে পুলিশের সাথে কাজ করি।’ থানার মামলা লিখে দেন বলে জানান তিনি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.