সিটিনিউজবিডি : আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর করা রিট আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বুধবার এই আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজ দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। বুধবার এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি এসএম এমদাদুল হক ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছিলেন।
আদালতে লতিফের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খোরশেদুল আলম।
রিট আবেদনে নির্বাচন কমিশন, আইন সচিব, জাতীয় সংসদের স্পিকার ও নির্বাচন কমিশনের উপসচিবকে (আইন) বিবাদী করা হয়েছে। লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে রিট আবেদনটি গত ১৬ আগস্ট রোববার বিকেলে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় দাখিল করেছেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।
গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে টাঙ্গাইল সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় লতিফ সিদ্দিকী হজ, তাবলিগ জামাতসহ অন্যান্য বিষয়ে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করেন। এরপর প্রথমে মন্ত্রিসভা থেকে এবং পরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
লতিফ সিদ্দিকীকে দল থেকে বহিষ্কারের ৯ মাস পর গত ৭ জুলাই জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে চিঠি দিয়ে তা জানানো হয়। এরপর ১৩ জুলাই প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে তার বিষয়ে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেন স্পিকার।