গ্রেনেড হামলায় জড়িত খালেদা জিয়া ও তারেক : প্রধানমন্ত্রি

0

সিটিনিউজবিডি :   ১৫ আগস্টের ঘটনার সঙ্গে যেমন জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন, তেমনি ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমানও জড়িত_ এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। তারা এ দেশে খুনের রাজত্ব কায়েম করতে চান। মানুষের ভালো হোক, কল্যাণ হোক, উন্নতি হোক_ তা তারা চান না। গতকাল বিকেলে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে হামলায় নিহতদের স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

হামলার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, সেদিন আমরা সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ করতে গিয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হই। সেই হামলায় কেন্দ্রীয় নেত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। গ্রেনেডের স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়ে পঙ্গু হন অনেকে। আমার সামনে অনেকে রয়েছে, আমার সঙ্গে অনেকে আছে, যারা এখনও সেই স্প্লিন্টার নিয়ে চলছে।

এর আগে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত অস্থায়ী বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শহীদদের প্রতি প্রথম শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এ সময় কেন্দ্রীয় ১৪ দলের পক্ষ থেকেও অস্থায়ী বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।

এ সময় আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও সাহারা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্ট নিহত সব শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সুলতান আহমেদ।

মোনাজাত শেষে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। পরে প্রধানমন্ত্রী ওই হামলায় শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করার পরপরই বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর অস্থায়ী বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে সভাপতি ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা অস্থায়ী বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এর আগে ২১ আগস্ট প্রথম প্রহরে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ রাত ১২টা ১ মিনিটে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোমবাতি প্রজ্বালনের মাধ্যমে ২৪ মিনিট নীরবতা পালন করে।

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের সামনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী জনসভা চলাকালে ইতিহাসের জঘন্যতম হামলায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা সেদিন অল্পের জন্য এই ভয়াবহ হামলা থেকে বেঁচে গেলেও ২৪ জন নিহত হন। এ ছাড়াও এই হামলায় ৪শ’ মানুষ আহত হন। এতে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী ও আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভী রহমানও আহত হন এবং পরে ২৪ আগস্ট তিনি মারা যান।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.