মন্ত্রী সভার বৈঠকে পর্যালোচনাঃ এলডিসি থেকে উত্তরণের সূচকে অগ্রগতি

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের জন্য সব সূচকে অগ্রগতি হয়েছে। আর এই অগ্রগতির বিষয়ে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করেছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ।

আজ সোমবার (২২ জানুয়ারী) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে বাংলাদেশের এলডিসি স্ট্যাটাস থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম এই তথ্য জানান। জাতিসংঘ আগামী মার্চে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণে প্রথম সুপারিশ করবে।

তিনটি নির্ণায়ককে কেন্দ্র করে এলডিসি স্ট্যাটাস থেকে উত্তরণের বিষয়টি বিবেচনা করা হয় জানিয়ে সচিব বলেন, এর একটি গ্রস ন্যাশনাল ইনকাম পার ক্যাপিটা (মাথাপিছু আয়), এর স্ট্যান্ডার্ড হচ্ছে এক হাজার ২৩০ মার্কিন ডলার। ইউএনসিডিপির (জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি) হিসাব অনুযায়ী আমাদের অর্জন এক হাজার ২৭২ ডলার।

বিসিএসের (বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো) হিসাব অনুযায়ী এক হাজার ২৭১ ডলার। এই নির্ণায়কে আমরা এগিয়ে আছি। তিনি বলেন, হিউম্যান অ্যাসেটস ইনডেক্সে (মানবসম্পদ সূচক) উত্তরণের মান হচ্ছে ৬৬ বা এর বেশি। সিডিপির হিসাব অনুযায়ী আমাদের আছে ৭২ দশমিক ৮ এবং বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী আমাদের আছে ৭২ দশমিক ৯।

জিয়াউল আলম বলেন, সর্বশেষ ইনডিকেটরটি হচ্ছে ইকোনমিক ভালনারেবিলিটি ইনডেক্স (অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক) এটার স্ট্যান্ডার্ড হচ্ছে ৩২ বা এর কম। সিডিপির হিসাব অনুযায়ী, আমাদের অবস্থান ২৫ এবং বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী ২৪ দশমিক ৮। তিনটি নির্ণায়কে আমাদের অবস্থান খুবই ভালো।

সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম জানান, গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসে আটটি মন্ত্রিসভা বৈঠকে ৬৮টি সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে ৫৩টির, ১৫টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নাধীন। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৭৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

২০১৬ সালের একই সময়ে ১০টি মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওই সময়ে সিদ্ধান্ত হয় ১১৬টি, যার মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে ৮০টি। আর ৩৬টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নাধীন ছিল। বাস্তবায়নের হার ছিল ৬৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

সচিব জিয়াউল জানান, গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসে মন্ত্রিসভা বৈঠকে আটটি চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং একটি নীতি বা কর্মকৌশল অনুমোদিত হয়েছে। আর সংসদে পাস হয়েছে তিনটি আইন।

২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসে মন্ত্রিসভা বৈঠকে আটটি চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং পাঁচটি নীতি বা কর্মকৌশল অনুমোদিত হয়েছিল। ওই সময়ে সংসদে ১১টি আইন পাস হয়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.