খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার অপব্যবহার করেছিলেনঃ দুদক

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে ট্রাষ্ট গঠন করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর পদ একটি প্রতিষ্ঠান। তাঁর কাজ নির্ধারিত থাকে। প্রধানমন্ত্রীর পদ গোপন করে প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়া নামসর্বস্ব জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট গঠন করেন। কিন্তু অবৈধভাবে অর্থ সংগ্রহ করে ট্রাস্টের কল্যাণে সর্ষে পরিমাণ কাজও করেননি।’

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় আদালতকে এসব কথা বলেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। আজ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারী) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানী ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৫-এ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। এর আগে বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে আদালতে হাজির হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে গিয়ে দুদকের আইনজীবি মোশাররফ হোসেন কাজল আরও বলেন, শপথ চলা অবস্থায় খালেদা জিয়া এই ট্রাস্ট গঠন করেছেন। তিনি ট্রাস্টের একজন ট্রাস্টিও। ট্রাস্ট আইন অনুযায়ী ট্রাস্ট গঠন করার জন্য তিনি কোনো টাকা দিয়েছিলেন বলে জানা যায়নি।

২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত যত দিন তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তত দিন এই ট্রাস্টের জন্য অর্থ সংগ্রহ হয়েছে। এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রী না থাকার সময়ে এই ট্রাস্টে আর কোনো অর্থ লেনদেন হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি এ অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সোনালী ব্যাংক শাখায় একটি হিসাব খোলা হয়। অথচ সেই হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর পদ গোপন করেছেন খালেদা জিয়া। এ ছাড়া ২০০৪ সালের ২৬ অক্টোবর গুলশান সাব রেজিস্ট্রি অফিসে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নিবন্ধন হয়েছিল। সেখানেও খালেদা জিয়া তাঁর প্রধানমন্ত্রীর পদ উল্লেখ করেননি। পদ গোপন করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর পদ একটি প্রতিষ্ঠান। তাঁর কাজ নির্ধারিত থাকে। প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়, শপথ চলার সময়, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত বিষয় বলে কিছু থাকে না। তিনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দেশের মানুষের হয়ে যান।

এ মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর এপিএস জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার এপিএস মনিরুল ইসলাম খান। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন দুদকের এই আইনজীবী। পরে আধ ঘণ্টার জন্য মধ্যাহ্ন বিরতি দেন আদালত।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.