বিএপির গঠনতন্ত্র পরিবর্তন চোরের মনে পুলিশ পুলিশঃ নাসিম

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ চৌদ্দ দলের মুখপাত্র আওয়মীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন বিএনপি শাস্তির ভয়ে এরইমধ্যে গঠনতন্ত্রও পরিবর্তন করে ফেলেছে। ‘চোরের মনে পুলিশ পুলিশ’ আর কি!

তিনি বলেন, শুধু ৮ ফেব্রুয়ারি নয়, নির্বাচন পর্যন্ত সজাগ ও সতর্ক থাকবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। আজ সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারী) বিকালে আওয়ামী লীগের ধানমণ্ডির অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ১৪ দলের বৈঠক শেষে জোটের মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম একথা জানান।

নাসিম বলেন,আদালতের ওপর আমাদের বিশ্বাস আছে। তারা তাদের মত করে সিদ্ধান্ত নেবে। এটা কারও পক্ষে বা বিপক্ষেও যেতে পারে। তারা (বিএনপি) শাস্তির ভয়ে এরইমধ্যে গঠনতন্ত্রও পরিবর্তন করে ফেলেছে। চোরের মনে পুলিশ পুলিশ আর কি!

বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে মোহাম্মদ নাসিম আরো বলেন, বিভিন্ন অজুহাতে বিএনপি-জামায়াত জোট নির্বাচন ভণ্ডুল করে একটা অসাংবিধানিক সরকার ক্ষমতায় আনতে চায়। তারা নানারকম বিভ্রান্তিকর কথা বলে। সংসদ ভেঙে দেওয়াসহ নানা সময়ে বিভিন্ন অযৌক্তিক দাবি করছে। মূলত এগুলো নির্বাচন ভণ্ডুলের চেষ্টা। তাদের এই অশুভ তৎপরতার বিরুদ্ধে ১৪ দল মাঠে থাকবে।’

আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের মতো ১৪ দলীয় জোটও দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উল্লেখ করে জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম জানান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সফর ও প্রধানমন্ত্রীর বিভাগীয় জনসভার কর্মসুচির সঙ্গে সমন্বয় করে জোটের সমাবেশের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

পুলিশ, প্রশাসন ও সেনাবাহিনী বিএনপির পক্ষে আছে- বিএনপি নেত্রীর এমন বক্তব্যকে উস্কানি উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা বলছে ‘পুলিশ, প্রশাসন ও সেনাবাহিনী তাদের সঙ্গে আছে। তাহলে আবার নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার চান কেন? তার মানে এটি উস্কানি। তারা একটি বাহিনীকে উস্কানি দিতে চায়। বলতে চায়, সেখানে তাদের লোক আছে।

এসময় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে বিএনপি নেতাদের ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার উল্লেখ করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ওইদিন যেভাবে হামলা করে বিএনপি পুলিশ মারল, প্রিজন ভ্যান ভাঙল। এটা কি কোনও রাজনৈতিক দল না ডাকাত-ছিনতাইকারীর দল? এটি পূর্বাভাস। তারা আবারও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করতে চায়। আমরা জানি এটা জনগণের শক্তি নয়, সন্ত্রাসীদের শক্তি।’

কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়ুয়া, তরিকতের নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডরি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এ কে এম এনামুল হক শামীম, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, সংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াসহ ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা।

বৈঠকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে আগাম অভিনন্দন জানানো হয়। একই সঙ্গে জোটের প্রয়াত নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.