বেগম জিয়া আজ সরকারের অবিচারের শিকারঃ গোলাম আকবর  

0

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিটি নিউজঃ বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার বলেছেন, ১/১১ সরকার যে প্রক্রিয়া শুরু করেছিল, আওয়ামীলীগ সরকার তা সমাপ্ত করছে। সরকার আদালতের উপর ভর করে তদের হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে চরিতার্থ করেছে।

দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী যিনি দীর্ঘ ৯ বছর গণতন্ত্রের পক্ষে এবং স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন তাকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দিয়েছে। দেশনেত্রীর মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে।

তিনি আজ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারী ) সকালে দলীয় কার্যালয় মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

এতে তিনি আরো বলেন, বিচারের নামে সরকারী মহলের অবিচারের শিকার হয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। তার প্রতি অমানবিক ও দু:সহ আচরণ করা হয়েছে। বেগম জিয়ার প্রতি যে জুলুম করা হয়েছে, তার কোন নজির খুজে পাওয়া যাবে না। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকার যে কতটা অমানবিক হৃদয়হীন এবং প্রতিহিংসা পরায়ন খালেদা জিয়ার প্রতি এ জুলুমেই নিকৃষ্ট উদাহরণ।

রায় ঘোষণার পর পরই শেখ হাসিনা  বেগম জিয়ার  প্রতি ছুড়ে দেন প্রতিহিংসার তীর। তিনি জনসভায় দম্ভের সাথে উচ্চারণ করেন কোথায় আজ খালেদা জিয়া? তার পিতাও একদিন দম্ভ উক্তি করেছিলেন, কোথায় আজ সিরাজ সিকদার? তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার প্রতি এই নির্মমতায় বাংলাদেশের মানুষ আজ দুঃখে ভারাক্রান্ত।

তিনি গণস্বাক্ষর কর্মসুচি থেকে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাতসহ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্করসহ বিভিন্ন থানায় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবী জানান।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট সংক্রান্ত মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা একটি মামলা। ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করে জাল জালিয়তি করে এ মামলাটি করা হয়েছে।

বেগম জিয়াকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার জন্যই বিচারের নামে প্রহসন করা হয়েছে। সরকার কোর্টকে ব্যবহার করার জন্য এ ধরনেরই হীন প্রন্থা বেছে নিয়েছে। খালেদা জিয়ার জেল ও ২ কোটি টাকা তছরুফের আষাঢ়ে গল্প দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না।

অনুষ্ঠানের সভাপতি চট্টগ্রাম বিএনপির ভারপ্রাত সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, সরকারের ফাঁদে পা দিয়ে হরতাল অবরোধের মত সহিংস আন্দোলন থেকে বিরত থেকে বেগম জিয়ার নির্দেশিত অহিংস ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন বিএনপিকে জনগনের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে।

আওয়ামীলীগের পাতা ফাঁদ তাদের জন্য বুমেরাং হয়ে গেছে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বেগম জিয়াকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মুক্ত খালেদা জিয়ার ছেয়ে বন্দি খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা অনেক বেশী।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সিদ্দিক আহমদ চৌধুরী, উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি এম এ হালিম, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন। এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মো. মিয়া ভোলা,

আলহাজ্ব সামশুল আলম, হাজী মো. আলী, সবুক্তগীন সিদ্দিকী মক্কি, হারুন জামান, সৈয়দ আহমদ, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, কামাল উদ্দিন কন্ট্রাক্টর, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজুু, এডভোকেট আবদুস সাত্তার সরোয়ার, এস এম আবুল ফয়েজ, এম এ হান্নান,  যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মন্নান,

আহমেদুল  আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গির আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, কামরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মবিন, শেখ নুরুল্লা বাহার, জাহিদুল করিম কচি, আলহাজ্ব বাবর মিয়া, মহিলা দলের সভানেত্রী কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, সহসাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম,

মো. সালাহউদ্দিন, এস এম জি আকবর, মো. শাহ আলম, আবু জহুর, জহির আহমদ, এস এম জাহাঙ্গির আলম, সম্পাদকবৃন্দ এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, মাহমুদ আলম পান্না, এম আই চৌধুরী মামুন, হামিদ হোসাইন, হাজী নুরুল আকতার, ডা. সরোয়ার আলম, দিদারুল আলম চৌধুরী দিদার, মোহাম্মদ আলী, অধ্যাপক ঝন্টু বড়ুয়া, নুরুজ্জামান, জিয়া উদ্দিন খালেদ চৌধুরী, থানার সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী,

এদিকে বিএনপি চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা কমিটিও পৃথক পৃথকভাবে কর্মসুচী পালন করেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.