স্রোতের কারণে অচল শিমুলিয়া -কাওড়াকান্দি ফেরি ঘাট

0

সিটিনিউজবিডি:   জেগে ওঠা চর, আর প্রবল স্রোতের কারণে অচল হয়ে পড়েছে শিমুলিয়া -কাওড়াকান্দি ফেরি ঘাট। সপ্তাহ পার হলেও পার হতে পারছে না শত শত যানবাহন।

প্রয়োজন মতো ড্রেজিং না হলে ফেরি চলাচলের মতো বন্ধ হয়ে যাবে লঞ্চ চলাচলও। নাব্যতা সংকট আর তীব্র স্রোতের ফলে দেশের দক্ষিণ বঙ্গের অন্যতম প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ হযে গেছে। একদিকে চ্যানেলে প্রয়োজনীয় পানির অভাব অন্যদিকে তীব্র স্রোত, যার কারণে পদ্মা নদীতে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে দক্ষিণ বঙ্গের ২১ জেলার মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।

গত ৫ দিন ধরে শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। নামে মাত্র থেমে থেমে চলছে একটি ফেরি। এতে করে যাত্রী দুর্ভোগ ছাড়াও এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক র্কমকাণ্ডে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এই রুটে ৪টি রো রো ফেরিসহ ১৮টি ফেরির মধ্যে এখন চলছে মাত্র একটি ফেরি। এতে ঘাট এলাকায় দুই শতাধিক ছোট বড় যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় এখন আর কোনো বাস বা কোচ ঢাকা থেেক শিমুলিয়া আসছে না, আরিচা ঘাট ব্যবহার করে দক্ষিণ বঙ্গে যাচ্ছে। তবে যে সকল ট্রাক ঘাটে এসেছে তা এখনো পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। শিকার হতে হচ্ছে নানা বিড়ম্বনার।

বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক  গিয়াস উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, পদ্মা নদীতে এখন স্রোত আছে ৭.৫ নট অর্থাৎ ১২/১৪ কিলোমিটার প্রায়। এতে ফেরিগুলো নদী পেরুতে পারছে না। চ্যানেলের যে জায়গায় নাব্যতা সংকট সেখানে ড্রেজিং চলছে। কিস্তু তীব্র স্রোতে আবার পলি এসে ড্রেজিং করা জায়গা ভরে যাচ্ছে। ফেরি চলাচলের জন্য পানির গভীরতার প্রয়োজন হয় কম পক্ষে ৭-৮ ফুট। আর চ্যানেল এলাকা জুড়ে পানির গভীরতা রয়েছে মাত্র ৫ ফুট।

নাব্যতা সংকট ও তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি চলাচল এখন বন্ধ হলেও কবে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাবে তা বলা মুশকিল। তবে দ্রুত এর সমাধান না হলে দক্ষিণ বঙ্গসহ সারা দেশে অর্থনৈতিকভাবে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.