একাত্তরের পরাজিত শক্তি এখনও ছোবল দিচ্ছেঃ সিটি মেয়র
সিটি নিউজ, চট্টগ্রামঃঃ চট্টগ্রাম একুশ মেলা পরিষদ এবার ৭জন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে একুশে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেছেন।একুশে সম্মাননা স্মারক পদক প্রাপ্ত ৭জন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ হলেন- স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম দৈনিক সংবাদপত্র দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, চট্টগ্রামের আধুনিক সংবাদপত্রের পথিকৃৎ দৈনিক পূর্বকোণ’র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ইউসুফ চৌধুরী (মরণোত্তর), দৈনিক পূর্বদেশ’র প্রতিষ্ঠাতা মাস্টার নজির আহমদ (মরণোত্তর), গৃহায়ন শিল্প বিকাশে অবদানের জন্য অধ্যাপক প্রকৌশলী মৃণাল কান্তি বড়ুয়া, নাট্যচর্চায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য নাট্যজন আহমদ ইকবাল হায়দার, আবৃত্তি চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাচিক শিল্পী রনজিত রক্ষিত, চারুকলা শিল্প চর্চায় অবদানের জন্য চারুশিল্পী দীপক কুমার দত্ত। সম্মানিত সকল সম্মাননা পদক প্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অথিথি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দিন বলেছেন, বাঙালি ভাষার লড়াইয়ে বিজয়ী হয়ে স্বাধীনতার লাল সূর্যকে ছিনিয়ে এনেছে। এই স্বাধীনতাকে রক্ষার জন্য আমাদেরকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। তিনি আরো বলেন একাত্তরের পরাজিত শক্তির প্রেতাত্মা জাতিসত্তাকে ছোবল দিচ্ছে। তাদের ষড়যন্ত্রের জাল লন্ডন থেকে পরিচালিত হচ্ছে। ষড়যন্ত্রের খলনায়ক দুর্নীতির বরপুত্র সাজাপ্রাপ্ত তারেক জিয়া। তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি কার্যকর প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি আজ বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি ) সন্ধ্যায় নগরীর ডিসি হিল নজরুল স্কোয়ার মঞ্চে একুশ মেলা পরিষদ আয়োজিত ৯ দিনব্যপী একুশে বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। ১২টি মানবিক সূচকে বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশের চেয়ে এগিয়ে। এই অর্জনকে ধরে রাখতে আগামী নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির অলোকবর্তিকা শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতাসীন করতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, সৃজনশীল বই পরিশুদ্ধ মননের প্রতীক। তাই জ্ঞানের বিকাশে বই আমাদের নিত্যসঙ্গী। নতুন প্রজন্মকে বই পঠনে মনোযোগী করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে আগামী বছর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে মাসব্যাপী বই মেলা করার ব্যাপারে আমার পরিকল্পনা রয়েছে। এ লক্ষ্যে আমাদের সংশ্লিষ্ট লেখক, প্রকাশক, সংস্কৃতি কর্মী এবং চট্টগ্রামে অপরাপর বই মেলা আয়োজকদেরকেও সমন্বিত করে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সভাপতির ভাষণে একুশে মেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ কারো করুণার পাত্র নয়। এখন দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার উদীয়মান ব্যাঘ্র। একদিন যারা আমাদের তলাবিহীন ঝুড়ি আখ্যায়িত করেছিল তার এখন আমাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
বিশেষ অতিথির ভাষণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরিন আকতার বলেন, বর্তমান সরকার জনকল্যাণমুখী। আজ কেউ গরিব নয়। বাংলাদেশ এখন নিম্ন মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে।
স্বাগত বক্তব্যে একুশ মেলা পরিষদের মহাসচিব নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বলেন অনেক প্রতিকূলতা ডিঙ্গিয়ে একুশের বইমেলা সম্পন্ন হলো। তারপর এই আয়োজনে যারা পূর্ণতা দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
বাচিক শিল্পী আয়েশা হক শিমু’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত একুশে পদক সম্মাননা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মেলা পরিষদের কো-চেয়ারম্যান ও নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী। আলোচনা সভার শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন একুশ মেলা পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব সংস্কৃতিকর্মী খোরশেদ আলম।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি এড.সুনীল সরকার,সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, সাংবাদিক ইউনিয়ন সাবেক সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, সংস্কৃতি কর্মী শওকত আলী সেলিম, নজরুল মোস্তাফিজ,মহিউদ্দিন মঈনুল আলম,সুমন দেবনাথ প্রমুখ।