চকরিয়ায় সিজারিয়ান ছাগল ছানা

0

বশির আলমামুন, চকরিয়াঃঃ চকরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ে ভেটেরিনারী হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি ছাগলের পেট থেকে সুস্থ একটি ছাগল ছানা বের করে আনা হয়েছে। বর্তমানে মা ছাগল ও বাচ্চা উভয় সুস্থ আছে। চকরিয়া উপজেলায় ছাগলের এটি প্রথম সিজারিয়ান বাচ্চা।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত আটটা ২০ মিনিটে সিজারিয়ান বাচ্চাটি হয়। এই সফল সিজারিয়ান অপারেশনটি করান উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারী সার্জন ডা. ফেরদৌসী আকতারের নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক।

চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিম নগর গাবতলী বাজার এলাকার ফালেছা বেগম একটি মা ছাগল নিয়ে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চকরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারী হাসপাতালে আসেন। এরপর হাসপাতালের ভেটেরিনারী সার্জন ডা. ফেরদৌসী আকতার মা ছাগলটিকে পর্যবেক্ষন করেন এবং সিজারিয়ান অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন।

ভেটেরিনারী হাসপাতাল সূত্র জানায়, মা ছাগলটির পানি ভাঙা শুরু হলেও বাচ্চা প্রসব হচ্ছিল না। এ কারণে ছাগলটির মালিক সেটিকে পশু হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ছাগলটি গর্ভের তিন মাস আগে গাড়ি দূর্ঘটনার শিকার হন। এতে ছাগলটির পেলভিক গার্ডলে (শ্রোণীচক্র) ক্ষতি হয়।

এর ফলে প্রসূতি অবস্থায় যতটুকু সম্প্রসারণ হওয়ার প্রয়োজন ছিল, ততটুকু সম্প্রসারণ হয়নি। এ কারণে ছাগলটির স্বাভাবিক প্রসবের কোনো সম্ভাবনা ছিল না।

ভেটেরিনারী সার্জন ডা. ফেরদৌসী আকতার বলেন, ইন্টার্ণী চিকিৎসক সাজিদ হাসান ও ইন্টার্ণী ভেটেরিনারী ফিল্ড এ্যাসিসটেন্ট  মো. বাবরকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম সিজার করাতে হবে। অপ্রতুল যন্ত্রপাতি ও হাসপাতালের অনুপযুক্ত পরিবেশের পরও সিজার করা হয়েছে। দুই ঘন্টা ২০ মিনিট চেষ্টার পর এতে সফলতাও পাওয়া গেছে। অনেকেই জানেন না পশুরও সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা হয়।

ছাগলটির মালিক ফালেছা বেগম বলেন, ছাগলেরও যে সিজারে বাচ্চা হয় এই প্রথম দেখলাম। এটা কখনোও শুনিনি। মা ছাগল ও বাচ্চা এখন পুরোপুরি সুস্থ আছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.