চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহাসড়কের পটিয়ায় চলছে পুলিশের গণচাঁদাবাজি। প্রতিদিনই চেক পোস্ট ও গাড়ির কাগজপত্র দেখার নামে পুলিশ বিভিন্ন যানবাহন থেকে প্রকাশ্যে গণহারে চাঁদা আদায় শুরু করেছে। পুলিশের এই হয়রানিমূলক কার্যক্রমের কারণে সিএনজি ট্যাক্সি, টেম্পোও যাত্রীবাহী যানবাহন রাস্তায় কমতে শুরু করেছে।এতে করে যাত্রীদের দূর্ভোগ বেড়েছে ।
গত ১০অক্টোবর(শনিবার) বিকাল ৫.৩০মি.সরেজমিন দেখা যায় পটিয়া থানার এসআই মোঃ আলী ,এএসআই করিম ও কনস্টেবল ফরহাদসহ কয়েকজন পুলিশ চেক পোস্ট বসিয়ে পটিয়া থানাধিন খরনা রাস্তারা মাথায় গাড়ির ডুকুমেন্ট দেখার অজুহাত দেখিয়ে পরিবহন শ্রমিকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছে এবং গাড়িতে বসা যাত্রীরা প্রতিবাদ করলে গ্রেফতারের হুমকি দেন তারা ।ঘটনার কিছুক্ষন পর খরনা রাস্তারা মাথায় স্থানীয় জনগণ ও চালকরা এস আই মোঃ আলী ও এ এস আই করিম এর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে এক পর্যায়ে এলাকার কিছু লোক এসে পরিস্থিতি সামাল দেন ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা ও গাড়ি চালকরা জানান, গত কয়েকদিন ধরে পটিয়া খরনা রাস্তারা মাথা, শাহচান্দ আউলিয়া মাজার সন্নিকটের পার্টি সেন্টারের পাশে, গিরি চৌধুরী বাজার, মনসা বাদামতলসহ বিভিন্ন স্পটে পটিয়া থানার কয়েকজন এসআই ও পুলিশ অফিসাররা এই চাঁদাবাজিতে নামেন।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ের পশ্চিম পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ও কালারপোল পুলিশ ফাঁড়ির সদ্যসদের বিরুদ্ধে ত্রি-হুইলার যানবাহন থেকে বেপরোয়া চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। বিষেশ করে গত ১ আগষ্ট যোগাযোগ মন্ত্রনালয় কর্তৃক মহসড়কে ত্রি-হুইলার যানবাহন নিষিদ্ধ করার পর থেকে এ চাঁদাবাজি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সিএনজি শ্রমিকরা জানিয়েছে।
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে পুলিশ বিভিন্ন যানবাহন আটকিয়ে গণহারে চাঁদা আদায়ের কারণে গাড়ির মালিকরা যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। গাড়ির চালক ও মালিকদের অভিযোগ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহাসড়কে তারা পুলিশের হয়রানির শিকার হচ্ছেন ।পটিয়া হাইওয়ে ও থানার কয়েকজন পুলিশ অফিসার প্রতিদিন গণহারে রাস্তায় চাঁদাবাজি শুরু করেছে।
পটিয়া থানার দায়িত্বশীল এক অফিসার নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানিয়েছেন, কয়েকজন এসআই’র কারণে পটিয়া থানা পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তাদের ব্যাপারে ইতোমধ্যে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিতও করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে কালারপোল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাথে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন যানবাহন থেকে কোন প্রকার চাঁদাবাজি করা হচ্ছে না।