স্পোর্টস ডেস্ক : সফরকারী জিম্বাবুয়েকে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ২৭৭ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এর আগে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে টাইগাররা সংগ্রহ করেছে ২৭৬ রান।
ইনিংসের শেষদিকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও স্বাগতিকদের বড় সংগ্রহের ভীত গড়ে দিয়েছেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। উদ্বোধনী জুটিতে দলীয় সংগ্রহে তারা যোগ করেছেন ১৪৭ রান। পরে দুইজনই ব্যক্তিগত ৭৩ রানে আউট হয়েছেন।
এর মধ্যে ইমরুল কায়েস ৯৫ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় দাপুটে ইনিংসটি সাজিয়েছেন। এছাড়া তামিম ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৭ চার ও ১ ছক্কায়।
পরে মুশফিকুর রহিম ২৮ রান, লিটন দাশ ১৭ রান, সাব্বির রহমান ১ রান ও নাসির হোসেন শুন্য রানে আউট হয়েছেন।বুধবার দুপুর ১ টায় মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া এ ম্যাচে টসে জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ম্যাচের অপরিবর্তিত দল নিয়েই তৃতীয় ওয়ানডেতে খেলছে টাইগাররা। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ইতোমধ্যে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে মাশরাফির বাংলাদেশ।
প্রথম দুই ম্যাচেই বড় ব্যবধানে জিতে সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলা বাংলাদেশের লক্ষ্য এখন হোয়াইটওয়াশ। এর আগে দুটি দলই একে অপরকে সমান দুটি বার হোয়াইটওয়াশ করেছে। ফলে এক্ষেত্রে আজকের ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য হোয়াইটওয়াশের হিসেবে জিম্বাবুয়েকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এনে দিয়েছে।
জিম্বাবুয়ে ২০০১ সালের এপ্রিল ও নভেম্বরে অনুষ্ঠিত ২টি ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল। ২০০৬ সালে ও ২০১৪ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে হিসেবের খাতা সমান করেছিল টাইগাররা।
জিম্বাবুয়ে ছাড়াও কেনিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে দু’বার এবং স্কটল্যান্ড, কেনিয়া, আয়ারল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানকে একবার করে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ।জিম্বাবুয়েকে এ ম্যাচে হারাতে পারলে ১২ সিরিজে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করানোর কৃতিত্ব অর্জন করবে বাংলাদেশ।