সিটিনিউজবিডি : আমি হিন্দুদের মালাউনের বাচ্চা বলিনি বলেন,মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হক । নাসিরনগরের একটি মানুষও যদি প্রমাণ করতে পারে আমি একথা বলেছি তাহলে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেব।
রোববার বেলা ২টার দিকে নাসিরনগর উপজেলার আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত কারো কাছ থেকে শুনে বলেছেন আমি নাকি হিন্দুদের মালাউনের বাচ্চা বলেছি। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। কেউ যদি প্রমাণ দিতে পারেন আমি মালাউনের বাচ্চা বলেছি তাহলে আমি মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করবো।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, একটি শিশুও বলতে পারবে না আমার নির্বাচনী এলাকায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সামাল দেয়ার পরিবর্তে আমি হিন্দুদের গালমন্দ করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার উস্কানি দেবো। এ বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক। যা আমার শত্রুপক্ষ ছড়াচ্ছে। হিন্দু ভাই-বোনদের হেফাজতে যথাযথ ভূমিকা পালনের বদলে নিজেদের মধ্যে একটা মিথা খবরের ভিত্তিতে কাদা ছোড়াছুড়ি করা মানেই ক্ষতিগ্রস্তদের আরো হুমকির মধ্যে ঠেলে দেয়া।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের মতো সংগঠন আমার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিয়ে আমাকে অভিযুক্ত করায় আমি অত্যন্ত মর্মাহত।
মৎস ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আরো বলেন, ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি মন্দির ও ঘর-বাড়িতে ঘুরে দেখেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তাও দিয়েছি। এ ঘটনায় প্রশাসনের কোনো ব্যর্থতা ছিল না।
হামলাকারীদের মুখোশ উন্মোচনে সাংবাদিকদের প্রশাসনকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, আপনারা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার মাধ্যমে হামলাকারীদের মুখোশ উন্মোচন করে প্রশাসনকে সাহায্য করুন এবং এমন কোনো সংবদা প্রকাশ করবেন না যাতে হিন্দু ভাই-বোনদের মনে ভীতির সঞ্চার হয়।
এর আগে দুপুর ১টার দিকে নাসিরনগর প্রেসক্লাবের সংবাদ সম্মেলন করে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অঞ্জন কুমার দেব।
তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আমাদের মালাউনের বাচ্চা বলে গালমন্দ করেননি। মন্ত্রির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। কিছু কুচক্রিমহল প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা ও ইমেজ নষ্ট করতেই উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এ অপপ্রচার করছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নাসিরনগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কাজল জ্যোতি দত্ত, নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস প্রদীপ কুমার রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অরুণ জ্যোতি ভট্টাচার্য প্রমুখ।