চসিক শিক্ষা খাতে বছরে ৪৩ কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হয়
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিটি নিউজ :: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসী, আলোকিত ও মূল্যবোধ সম্পন্ন নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি আজ শনিবার সকালে নগরীর পোস্তারপাড় আছমা খাতুন সিটি কর্পোরেশন মহিলা (ডিগ্রী) কলেজের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন ও বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
নবনির্মিত ভবনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। ৪ হাজার বর্গফুট জমির উপর ৬ তলা ফাউন্ডেশনের (ভিত্তি) নতুন এই ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন করা হয়। ফলক উন্মোচনের পর দেশ-জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।
এ সময় স্থানীয় কাউন্সিলর মো. জাবেদ, শৈবাল দাশ সুমন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারহানা জাবেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, কলেজ পরিচালনা সভাপতি মো. সেকান্দর মিয়া, সদস্য দোস্ত মোহাম্মদ, কলেজ অধ্যক্ষ লাভলী মজুমদার, শিক্ষা অফিসার সিদ্ধার্থ কর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে সিটি মেয়র কলেজের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ ও সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন শিক্ষা-স্বাস্থ্য সেবা খাত পরিচালনা করতে গিয়ে নগরবাসীর ওপর কোন করারোপ করে না। মেযর বলেন, কর্পোরেশন শিক্ষা খাতে প্রতিবছর ৪৩ কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়। এর মধ্যে আছমা খাতুন সিটি কর্পোরেশন মহিলা (ডিগ্রী) কলেজে প্রতি বছর ভর্তুকি দেয়া হয় ৩৫ লাখ টাকা।
তিনি জানান নাগরিক সেবার জন্য কর আদায়ের ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু পৌরকর নিয়ে নগরের অনেক অধিবাসী ভুল ধারণা পোষন করেন যা দুঃখজনক। গেলো অর্থবছরে কর্পোরেশনের পৌরকর আদায় হয়েছে ১০৩ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৬৫ কোটি দেয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ সরকারি। অবশিষ্ঠ ৩৮ কোটি টাকা আদায় হয় নগরবাসীর কাছ থেকে। তাই নাগরিক সেবার স্বার্থে নগরবাসীর মনোভাব পরিবর্তন করা উচিত বলে মন্তব্য করেন মেয়র।
তিনি জানান কর্পোরেশনের ১০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা খাতে প্রতি মাসে ব্যয় হয় ২০ কোটি টাকা। স্বাস্থ্য খাতে ভর্তুকি দিতে হয় প্রতিবছর ৩ কোটি টাকা। মেয়র পৌরকর প্রদানে মানসিকতার পরিবর্তন করে নগরবাসীকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি অসচ্ছল নাগরিকদের কর প্রদানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ছাড় দেয়ার কথা দেন।
জনাব আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, উৎকৃষ্ট নাগরিক সেবা নগরবাসীর দেয় পৌরকরের ওপর নির্ভর করে। তিনি পোস্তারপাড় আছমা খাতুন সিটি কর্পোরেশন মহিলা কলেজের শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষকদের মানের প্রশংসা করে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানোর জন্য অভিভাবকদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
তিনি এ ব্যাপারে প্রচারের জন্য কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও প্রাক্তণ-বর্তমান ছাত্রীদের উদ্যোগী এবং সহযোগীতা কামনা করেন। পরে কলেজের শিক্ষার্থীরা সঙ্গীত পরিবেশন করে।