অর্থবাণিজ্য ডেস্ক : দেশে অনলাইন মার্কেটে গ্রাহক ও ক্রেতার আনাগোনা দিন দিন বাড়লেও তাদের একটি বড় অংশ ইন্টারনেটে পণ্য সম্পর্কে ধারণা নিয়ে সশরীরে গিয়ে কেনাকাটায় স্বস্তি বোধ করেন বলে উঠে এসেছে এক জরিপে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে বসবাসকারী ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৪৫০ জন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর মতামত জেনে ই-কমার্স পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান লাইট ক্যাসল পার্টনার্স (এলসিপি) এই জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বাংলাদেশে এখনও ইন্টারনেট ব্যবহার হচ্ছে মূলত যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে। তরে এর মধ্যেও অনলাইন শপিং পোর্টালগুলো নিয়ে ব্যবহারকারীদের আগ্রহ বাড়ছে। সেখানে তারা পণ্যের দাম সম্পর্কে ধারণা নিচ্ছেন। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৩৮ শতাংশ বলেছেন, তারা আগামী এক বছরে অনলাইনে কেনাকাটা আরও বাড়াতে চান।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে ‘দ্য রাইজ অফ দ্য ডিজিটাল কনজ্যুমার ক্লাস’ শির্ষক ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করে এলসিপি’র প্রধান নির্বাহী বিজন ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে কেনাকাটার একটি সুনির্দিষ্ট গোষ্ঠী গড়ে উঠছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যবিত্ত এবং উচ্চ মধ্যবিত্তদের মধ্যে (যাদের মাসিক আয় ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজারের মধ্যে) ইন্টারনেটে পণ্য কেনা-বেচার আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৫১ শতাংশ বলেছেন, তারা সম্প্রতি ইন্টারনেট বাজারের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন।
নবাগতদের ২৬ শতাংশ চট্টগ্রামের, বাকিরা অধিকাংশই ঢাকার বাসিন্দা। ঢাকার উত্তরদাতাদের মধ্যে যারা অনলাইন কেনাবেচায় অংশ নেওয়ার কথা বলেছেন, তাদের ১৯ শতাংশ কাপড় ও শিশুপণ্য কিনতে ই-কমার্স সাইট ব্যবহার করেন। ২৩ শতাংশ ব্যবহারকারী বলেছেন, তারা অনলাইনে পণ্য সম্পর্কে ধারণা নিয়ে সশরীরে গিয়ে পণ্য কিনতেই স্বস্তি বোধ করেন। জরিপের অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ১৮ শাতাংশ প্রতিদিন একবার, ২২ শতাংশ সপ্তাহে একবার করে বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটে যান। ৩৩ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, সপ্তাহের ছুটির দিনগুলোতে তারা শপিং করতে পছন্দ করেন।
৩৭ শতাংশ সারা বছরে একবার হলেও ই-কমার্স সাইট ব্যবহার করার কথা জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬৭ শতাংশ উত্তরদাতা পণ্য বুঝে নিয়ে নগদ টাকায় দাম পরিশোধে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। আর ৩২ শতাংশ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পরিশোধে আগ্রহী। এলসিপি’র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও বিজন ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ এখনও ইন্টারনেটকে যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবেই দেখে। ডিজিটাল বিজনেস সাইটগুলোতে তাদের উপস্থিতি অচিরেই বাড়তে দেখা যাবে।”