চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ৫ সপ্তাহে নিহত ৫১

0

চকরিয়া(কক্সবাজার)প্রতিনিধি::চালকের অসাবধানতার কারনে দিনদিন বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। প্রতিদিন মৃত্যুর খাতায় নামের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া এলাকায়।। এ বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৫ সপ্তাহে অন্তত ৪৮ জন নিহত ও দেড় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। চলন্ত অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বলা,চালকের অসাবধানতা, ওভারটেকিং, দ্রত গতিতে গাড়ি চালানো, রাতের আধারে ঘণ কুয়াশা পড়ে সড়ক পিচ্ছিল হওয়ায় এবং লাইসেন্স বিহীন অদক্ষ ও কম বয়সী চালকের কারনে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটছে বলে সচেতন মহলের অভিমত।

চকরিয়ার চিরিঙ্গা ও মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ সহ স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এ বছরের ১ জানুয়ারী থেকে ৫ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ৫ সপ্তাহে সড়ক দূর্ঘটনায় নারী-শিশুসহ শিশু-নারীসহ অন্তত ৪৮ জন প্রাণহানি ঘটেছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে। সবচেয়ে বেশী দুর্ঘটনা ঘটেছে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মহাসড়কের ৩৯ কিলোমিটার এলাকায়। এ পর্যন্ত ১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৪ জন। চকরিয়ার জাইল্যারাঢালা, হারবাং গয়ালমারা, ভান্ডারির ডেবা, ইনানী, বরইতলী, বানিয়ারছড়া, ইসলাম নগর, জিদ্দাবাজার, ভাঙ্গারমুখ, ফাঁশিয়াখালী, রিংভং, মালুমঘাট, ডুলাহাজারা ও খুটাখালীতে এসব সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার মধ্যে অধিকাংশ যানবাহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। চালকরা ওভারটেকিং ও দ্রত গতিতে গাড়ি চালাতে গিয়ে পিচ্ছিল সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দূর্ঘটনার শিকার হন বেশী। মহাসড়কের হারবাং এলাকাতেই শুধু ৫ কিলোমিটারের মধ্যেই ৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় ৯জন। নিহতদের মধ্যে পুলিশের সদস্য ও পর্যটক রয়েছে।

এছাড়া কক্সবাজারের সদর উপজেলার লিংক রোড, ঈদগাঁও, ইসলামপুর, রামুর বাইপাস, পানির ছড়া, চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতি, আধুনগর, আমিরাবাদ স্টেশন, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, দোহাজারী, পটিয়া, বোয়ালখালী, চরলক্ষ্যা এলাকায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় ২৭ জন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয় দেড় শতাধিক যাত্রী ও পথচারী। যাত্রীদের মধ্যে পিকনিক পাটির ২৭জন ও পর্যটক ছিল ১৯ জন ।
চিরিংগা হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট মাইদুল ইসলাম জানান, সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে যে ট্রাফিক আইন রয়েছে তা মানতে চায়না চালক ও পরিবহন শ্রমিকরা। যেমন বেশিরভাগ লাইসেন্স বিহীন অদক্ষ ও কম বয়সী চালকরা সড়কে দ্রত গতিতে গাড়ি চালায়। ওভারটেকিং করে। মামলা দিলে আন্দোলনের হুমকি দেয় শ্রমিকরা।এছাড়াও সড়কে আঁকাবাঁকা সতর্কীকরণ বোর্ড না থাকা। কক্সবাজারগামী পর্যটকবাহী গাড়ির চালকদের নতুন সড়ক সম্পর্কে ধারণা না থাকা। এসবের কারণে দুর্ঘটনা বেড়েই চলছে।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম বলেন, গনপরিবহনের মালিক শ্রমিকদের নিয়ে ট্রাফিক আইন কানুন সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। এরপরও নির্দেশনা না মানলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.