পটিয়ার ছনহরা-ভাটিখাইন ঠেগরপুনি সেতু সংস্কার নেই

0

সুজিত দত্ত, পটিয়া প্রতিনিধি :: চট্টগ্রামের পটিয়ার ছনহরা-ভাটিখাইনের ঠেগরপুনি ব্রীজটি ভেংগে যাওয়ার ৪ বছর পরও সংস্কার না হওয়ায় এলাকাবাসী দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এতে প্রতিদিন শত শত স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ বাশেঁর সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। তারা অবিলম্বে সেতুটি সংস্কারে সংশ্লিষ্ট এলজিইডি ও পটিয়ার সাংসদ আলহাজ্ব সামশুল হক চৌধুরীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

জানা যায়, পটিয়ার ভাটিখাইন ও ছনহরার মধ্য দিয়ে শ্রীমতি খাল বয়ে গেছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এ খাল দিয়ে পাহাড়ী ঢলের পানি এসে শুধু বাড়ী-ঘর নয় ব্রীজ পর্যন্ত ঢলের তোড়ে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ৪/৫ বছর পূর্বে ঠেগরপুনি ব্রীজটি ও পাহাড়ী ঢল ভাসিয়ে নিয়ে গেলেও অদ্যাবধি এটি সংস্কার বা নতুন করে নির্মাণের উদ্যোগ না নেওয়ায় জন দুর্ভোগ চরমে পৌছেছে। স্থানীয় শিক্ষার্থী অপু বড়–য়া বলেন, ভাঙ্গা সেতু সংস্কার না হয়ে বাশেঁর সাঁকো হওয়ায় আমরা ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যায়।

স্থানীয় এ্যাপোলো বড়–য়া বলেন, এ ব্রীজটি সংস্কারে এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। পটিয়ার সাংসদও বিষয়টি অবগত আছেন। কারণ আমাদের এ ঠেগরপুনি গ্রামটি একটি বিখ্যাত এলাকা। এখানে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধানতম তীর্থস্থান ঠেগরপুনি বুড়া গোসাই মন্দিরের অবস্থান। এখানে প্রতিদিন দেশ-বিদেশ থেকে অনেক ধর্ম প্রাণরা মন্দির দর্শণে আসেন। কিন্তু এটি এতদিন রাস্তাঘাট সংস্কার বিহীন থাকায় তাদের দুর্ভোগে পোহাতে হতো। বর্তমানে পটিয়ার সাংসদ আলহাজ্ব সামশুল হক চৌধুরী সড়ক উন্নয়নে বরাদ্দ দিয়ে এটির ৪ ভাগের ৩ ভাগ কাজ শেষ করেছেন। আমরা আশাবাদী বাকী কাজও শীঘ্রই শেষ হবে। পাশাপাশি আমরা শ্রীমতি খালের এ সেতুটিরও সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।

স্থানীয় ভটিখাইন ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম, ছনহরা ইউপি সদস্য জাহেদুল হক বলেন, আমার জনগণের এ দুর্ভোগ লাঘবে মাননীয় সংসদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। ছনহরা ইউপি চেয়ারম্যান এড. আবদুর রশিদ দৌলতী ও ভাটিখাইন ইউপি চেয়ারম্যান মো: বখতিয়ার বলেছেন আমরা পৃথক পৃথক ভাবে মাননীয় সাংসদ আলহাজ্ব সামশুল হক চৌধুরীকে এ ব্রীজের ব্যাপারে অনুরোধ করেছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা আশাবাদী দ্রুত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে দুই ইউনিয়নের মানুষের মধ্যে সহজ যোগাযোগ স্থাপনে ব্যবস্থা নেবেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.