বিনোদন ডেস্ক : অভিনয়ের রাজা রাজার মতই আছেন। কাজে এখনো দাপট দেখিয়ে যাচ্ছেন। বৃদ্ধ হলেই যে জীবন শেষ হয়ে যায় না সেটা নাকরাজকে দেখলেই বোঝা যায়। অভিনয়ের সব বয়সে সেরা জায়গাটাতেই কাজ করেছেন, পঁচাত্তরেও তাই করছেন।
বাংলা চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন নায়করাজ রাজ্জাক। দু্-একটি ছবিতে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের পর জহির রায়হানের ‘বেহুলা’য় পূর্ণাঙ্গ নায়ক হিসেবে সুপারহিট। এরপর বাংলা চলচ্চিত্রের এ রোমান্টিক নায়কের আর পেছন ফিরতে হয়নি। নিজে যেমন এগিয়েছেন, পথ দেখিয়েছেন চলচ্চিত্র শিল্পকেও।
জন্মদিনের নানা আয়োজন:
বাংলা চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি নায়করাজ রাজ্জাকের ৭৫তম জন্মদিন ২৩ জানুয়ারি । জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে ছয়শরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করা এ নায়কের জন্মদিন।
শনিবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) পরিচালক, শিল্পী কলাকুশলিরা কেক কাটবেন। সন্ধ্যার পরে নায়ক রাজের নিজ বাড়িতে থাকছে নানা আয়োজন।
২৩ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টায় চ্যানেল আই এর ‘গানে গানে সকাল শুরু’ অনুষ্ঠানে রাজ্জাক অভিনীত চলচ্চিত্রের গান গাইবেন খুরশীদ আলম ও আবদুল জব্বার। সকাল ১১টা ৫ মিনিটে প্রচারিত হবে ‘নায়করাজের চার যুগ’। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী এবং পরিচালনা আবদুর রহমান।
দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে ‘এবং সিনেমার গান’ অনুষ্ঠানে থাকবে রাজ্জাক অভিনীত চলচ্চিত্রের গান। দুপুর সাড়ে ১২টায় ‘সিটিসেল তারকা কথন’ অনুষ্ঠানের অতিথি থাকবেন রাজ্জাক। দুপুর আড়াইটায় দেখানো হবে রাজ্জাক অভিনীত ছবি ‘অশিক্ষিত’।
চ্যানেল আই ছাড়া আরও কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল তাকে নিয়ে রয়েছে বিশেষ আয়োজন।
১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি কলকাতার টালিগঞ্জে নায়ক রাজ রাজ্জাকের জন্ম। প্রকৃত নাম আবদুর রাজ্জাক। টালিগঞ্জের মোল্লা বাড়িতে আকবর হোসেন ও মিনারুন্নেসার কোলে জন্ম তার। মাত্র ১৯ বছর বয়সে ১৯৬২ সালে বিয়ে করেন লক্ষীকে। ১৯৬৪ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হলে পরিবার নিয়ে ঢাকায় আসেন রাজ্জাক। সংসারে তিন পুত্র এবং এক কন্যা সন্তান। মেয়ে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। দুই পুত্র বাপ্পারাজ এবং সম্রাট চিত্রনায়ক।