প্রসূন অভিনীত ‘অচেনা হৃদয়’ মুক্তি পেয়েছে

0

রিয়েলিটি শো থেকে উঠে আসা প্রসূন অভিনীত ‘অচেনা হৃদয়’ মুক্তি পেয়েছে শুক্রবার। প্রথম সিনেমার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো ও নতুন চলচ্চিত্রসহ অন্যান্য বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন । প্রসুন আজাদের সে আলাপচারিতার চুম্বক অংশ তুলে ধরা হল—
‘দর্শকের প্রচণ্ড চাপে ক্লান্ত হয়ে গেলেও মন ভরে গেছে আনন্দে। আমি কখনই একসঙ্গে এত মানুষ দেখিনি, যারা সবাই আমার দিকে দিকে তাকিয়ে আছে আমার সাথে হাত মিলাতে চাচ্ছে, ছবি তুলতে চাচ্ছে।’ এভাবেই দর্শকসারিতে বসে নিজের সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতার কথা বলছিলেন প্রসূন আজাদ।

বড় পর্দায় নিজেকে দেখতে কেমন লাগছে?

প্রথমবারের মত নিজেকে বড় পর্দায় দেখলাম। অনুভূতিটা একদম অন্যরকম। ভাষাতে প্রকাশ করার মত না। দর্শকের প্রচণ্ড চাপে ক্লান্ত হয়ে গেলেও মন ভরে গেছে আনন্দে। আগে বিভিন্ন সময় রাস্তায়, শুটিং স্পটে মানুষ কথা বলতে চেয়েছে, ছবি তুলতে চেয়েছে। কিন্তু এমনটি ঘটেনি কখনো। আমি কখনই একসঙ্গে এত মানুষ দেখিনি, যারা সবাই আমার দিকে দিকে তাকিয়ে আছে আমার সাথে হাত মিলাতে চাচ্ছে, ছবি তুলতে চাচ্ছে।

আর কী অভিজ্ঞতা হল?

এতদিন শুধু শুনেছি সিনেমার টিকেট ব্ল্যাক হয়। নিজের সিনেমা দেখতে গিয়ে দেখলাম ৫০ টাকার টিকেট কাউন্টারের বাইরে ১০০ টাকা দিয়েও বিক্রি হচ্ছে। সব মিলিয়ে দর্শকের আগ্রহ দেখে অন্যরকম একটা ভাললাগা তৈরি হয়েছে।

সবই তো ‘অচেনা হৃদয়’ এর জন্য। শুটিং সময়েও নিশ্চয় অনেক মজার ঘটনা ঘটেছে?

হ্যা। এই চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের প্রতিটি মুহূর্তই আমার জন্য বিশেষ। যেহেতু এটা আমার প্রথম সিনেমা। এই সিনেমাতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে সিনেমার জন্য প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো। সব মিলিয়ে শুটিং শুরুর দিন থেকে মুক্তি পাওয়া ও পরের মুহূর্তগুলোও আমার জন্য বিশেষ।

প্রথমদিন সিনেমার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর মুহূর্তটা কেমন ছিল?

প্রথম যেদিন ‘অচেনা হৃদয়’ এর ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালাম খুব ভয় পাচ্ছিলাম। ডিরেক্টরকে সালাম করলাম, ডিওপিকে সালম করলাম। তারা হাসাহাসি করছিল আর বলছিল, ‘তুমি তো এর আগেও অনেকবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছো। তারপরও কেন এমন করছ!’ শটে যাওয়ার আগে বাবাকে ফোন দিয়ে জানালাম। ওই দিনের অনুভূতি আসলে বর্ণনা করার ভাষা নেই।

আপনার অভিনয়ে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ‘সর্বনাশা ইয়াবা’। যতদূর জানি এতে অভিনয় করে সন্তুষ্ট ছিলেন না।

এসআই খানের ‘অচেনা হৃদয়’ এর মধ্য দিয়েই আমার চলচ্চিত্রে আসা। অচেনা হৃদয়ের কিছু ছবি ও ফুটেজ দেখে ‘সর্বনাশা ইয়াবা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য আমাকে নেন কাজী হায়াত স্যার। তবে সত্যি কথা বলতে চরিত্রটি আমার মনের মত ছিল না। আর ওখানে আমার অভিনয়ের সুযোগও ছিল অনেক কম। অন্যদিকে ‘অচেনা হৃদয়’ এর রূপা চরিত্রটি ভাইটাল। দর্শক দেখে মুগ্ধও হয়েছেন।

আপনি তো নাটকের অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিত।

হ্যা। প্রথম নাটকের নাম ছিল ‘একটি মৃত্যুর স্বপ্ন’। পরিচালক ছিলেন অনিমেষ আইচ। কো-আর্টিস্ট ছিলেন আহমেদ রুবেল, বাংলাদেশে যার অভিনয় আমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ। নাটকটি প্রচার হয়েছিল ২০১২ সালে কোরবানি ঈদে, দেশটিভিতে।

চলচ্চিত্রে অভিনয়ের স্বপ্ন কত দিনের?

যে দিন থেকে চিন্তা করলাম অভিনয় করতে হবে সেই দিন থেকেই স্বপ্ন দেখতাম চলচ্চিত্রে অভিনয় করব। সেই স্বপ্ন পূরণ হল।

আরিফিন শুভর বিপরীতে ‘মৃত্যুপুরী’ সিনেমাতে আপনার অভিনয় করার কথা রয়েছে। কিন্তু অনেকদিন চলচ্চিত্রটির কোনো খবর নেই।

‘মৃত্যুপুরী’ সিনেমার গল্পটি এমন একটি বাঙালী মেয়ের, যে দেশের বাইরে থাকে। পরিবার ছাড়া কিভাবে তাকে জীবন যাপন করতে হয়, সেটা নিয়েই আসলে গল্পটি। যতদূর জানি বাংলাদেশে এর একটা সিকোয়েন্সও শুটিং হবে না। আর বাঙালী হিসেবে অভিনয় করছি শুধু আমি আর আরিফিন শুভ। চলচ্চিত্রটির শুটিং হবে অস্ট্রেলিয়াতে। ভিসা জটিলতার কারণে শুটিং শুরু হচ্ছে না। ভিসা হয়ে গেলেই আমরা অস্ট্রেলিয়া যাব।

শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে আলভী আহমেদের ইউটার্ন। এই চলচ্চিত্রেও তো দেখা যাবে আপনাকে।

আমি ‘ইউটার্ন’ এ অভিনয় করিনি। আইটেম গানে নেচেছি মাত্র।

চলচ্চিত্র ও ছোট পর্দা দুই জায়গাতেই আপনার উপস্থিতি…

আমি মনে করি যে কোনো এক মাধ্যমেই নিজেকে প্রকাশ করা উচিৎ। কেবল চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার শুরু করলাম। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের চাপ বেড়ে গেলে এমনিতেই আর নাটকে অভিনয় করা সম্ভব হবে না।

ঈদের ব্যস্ততা নিয়ে বলুন।

ঈদের বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেছি। সম্প্রতি শেষ করলাম সোয়েব সাদিক সজীব পরিচালিত ‘বাসন্তি টি স্টল’ নামের একটি নাটকের শুটিং।

ভবিষ্যতের ভাবনা কী?

আমি জানি না সামনে কী হবে! হাতে কোন ধরনের চলচ্চিত্র আসবে! জানি না ‘অচেনা হৃদয়’ এর রূপার মত চমৎকার চরিত্র আর পাবো কী না! তবে চলচ্চিত্রেই নিয়মিত হতে চাই।

ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনাকেও ধন্যবাদ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.