পোশাক খাতে সহায়তা দিবে যুক্তরাষ্ট্র

0

সিটিনিউজবিডি :  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে গতকাল সৌজন্য সাক্ষাৎকরেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাট বলেছেন, তার দেশ বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, এটি কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়। বাংলাদেশ যাতে এ খাতের চাহিদাগুলো পূরণ করতে পারে সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকারী বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীর প্রত্যাবাসন সম্পর্কে বার্নিকাট বলেন, বিষয়টি এখন আদালতে বিচারাধীন। তার প্রত্যাবাসন নির্ভর করছে আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, তৈরি পোশাক খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনাকালে বার্নিকাট বলেছেন, মার্কিন ক্রেতারা বাংলাদেশের পোশাক খাতের শ্রমিকদের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চায়। আলোচনায় ‘জিএসপি’ শব্দটি উচ্চারিত না হলেও বার্নিকাট বলেছেন, এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক নয়।

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনন্য সাফল্যের প্রশংসা করেন। খবর বাসস ও বিডিনিউজ।

রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কেবল পোশাক খাতে নয়, কৃষিভিত্তিক শিল্প ও জাহাজ নির্মাণেও উন্নতি করছে বাংলাদেশ।
তিনি নারীর ক্ষমতায়নেও বাংলাদেশের ব্যাপক অগ্রগতি লাভের প্রশংসা করেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ভূমিকা এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের যথাযথ পদক্ষেপেরও প্রশংসা করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ সম্পর্কে তার বক্তব্য পুনরুল্লেখ করে বলেন, সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের কোনো ধর্ম ও দেশ নেই।

তিনি বলেন, ‘আমি নিজে সন্ত্রাসবাদের শিকার এবং বাংলাদেশের জনগণকে এজন্য অনেক ভুগতে হয়েছে। মানবজাতিকে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ থেকে রক্ষা করতে হবে।’
গোলযোগপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে শান্তি বজায় রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এখন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সর্বাধিক সৈন্য প্রেরণকারী দেশ। বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা বিভিন্ন গোলযোগপূর্ণ অঞ্চলে শান্তিরক্ষার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী সারাবিশ্বে অস্ত্র উৎপাদন হ্রাসের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।
যোগাযোগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের চাবিকাঠি হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

এ প্রসঙ্গে তিনি সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপালের মধ্যে মোটরযান চলাচল চুক্তি স্বাক্ষর ও বাংলাদেশ-চীন-ভারত ও মিয়ানমারের মধ্যে অর্থনৈতিক করিডোর প্রতিষ্ঠার চলমান উদ্যোগ এবং ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তির কথা উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন ডেভিড মিল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.