বাঁশখালীর প্রধান সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু
বাঁশখালী প্রতিনিধি, সিটি নিউজ :: বাঁশখালীর প্রধান সড়ক সম্প্রসারণে কাজ অবশেষে শুরু করেছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। । প্রধান সড়ক সম্প্রসারণ এর কাজ শুরু করলেও প্রধান সড়ক থেকে নিদিষ্ট দুরত্বে দোকান পাঠ না সরালে এবং অবৈধ স্থাপনা গুলো কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে সরানোর ব্যবস্থা গ্রহন করা না এর সুফল পাবে না জনগন ।
তার কার বাশঁখালীর প্রধান সড়কের সাথে অধিকাংশ দোকান পাঠ এত বেশি লাগানো দোকানের অধিকাংশ মালামাল রাস্তার উপর রাখে ব্যবসায়ীরা । তার উপর প্রধান সড়কের উপর ৮/১০ টি বাজার বসে প্রতিনিয়ত ।বর্তমান কাজ চলাকালীন সময়ে যদি এসব উচ্ছেদ করা হয় তাহলে ভোগান্তি কমবে সর্বক্ষেত্রে।না হয় আবারো যানজটের নাকালে থাকবে বাশঁখালীবাসী ।
প্রধান সড়ক সম্প্রসারণ, চারটি কালভাট নির্মান কাজের শুভ উম্ভোধন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২১ মার্চ পটিয়া জনসভায় অপরাপর উন্নয়ন কাজের সাথে উম্ভোধন করেন।
জানা যায়, বাঁশখালীর যেসব এলাকায় বাজার অবস্থিত এবং প্রতিনিয়ত যানজট সৃষ্টি হয়ে দীর্ঘ ভোগান্তির কারণ হয় সেসব এলাকায় ১৮ ফুট থেকে ২৪ ফুট চওড়া করা হবে। সেগুলো হল কালীপুরের গুনাগরী এলাকা বৈলছড়ি ইউনিয়নের বৈলছড়ি বাজার ও চেচুরিয়া বাজার এলাকা, বাঁশখালী পৌরসভার জলদী মিয়ার বাজার এলাকা, চাম্বল ইউনিয়নের চাম্বল বাজার এলাকা, শীলকূপের টাইম বাজার এলাকা ২৪ ফুট চওড়া করা হবে।
তাছাড়া যেসব বাঁকে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা সংঘটিত হয় সেসব বাঁকগুলো ২৪ ফুট প্রশস্থ ও চওড়া করা হবে। তা হলো পুকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর ও চন্দ্রপুর পাহাড় এলাকা, বৈলগাঁও মোড় এলাকা, পুর্ব বৈলগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খাদি মুড়া এলাকা, সাধনপুর ইউনিয়নের বণিক পাড়া, ব্রাহ্মণপাড়ার টেক ও লটমণি এলাকার টেকগুলো সোজা করা হবে। এছাড়া সাধনপুর ইউনিয়নের বাণীগ্রামে ২টি ও চাম্বল ইউনিয়নের চাম্বল এলাকায় ২টি করে ৪টি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।
বাঁশখালী প্রধান সড়কের স¤প্রসারণ, বাঁশখালীতে স্থায়ী বাস টার্মিনাল নির্মাণ সহ সার্বিক বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন বাঁশখালীবাসীর দীর্ঘদিনের যোগাযোগ ভোগান্তি নিরসনে প্রধান মন্ত্রী বরাবরে আবেদন নিবেদনের প্রেক্ষিতে বাঁশখালী প্রধান সড়কের সম্প্রসারণের কাজের উদ্বোধন করেছেন। বাঁশখালীবাসী যোগাযোগে আধুনিক সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য সকল ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন ও বাস্তবায়ন করা হবে বলে তিনি জানান ।
বাঁশখালীর প্রধান সড়ক সম্প্রসারণে কাজ যথাসময়ে শেষ হবে বলে চট্রগ্রাম দোহাজারী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তোফাইল মিয়া দৈনিক আজাদীকে জানান।
সূত্রমতে, বাঁশখালীর প্রধান সড়কের দীর্ঘদিনের জ্বরাজীর্ণতার অবসান ঘটলেও বাঁশখালী সড়কে চলাচলকারী গাড়ী গুলো নি¤œমানের হওয়ায় যাত্রীদের পদে পদে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। তাছাড়া ঠিকমত বসাও যায়না এই সব গাড়ীর সিটগুলোতে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের মধ্যে সর্বোচ্চ ভাড়া আদায় হয় বাঁশখালী সড়কে।
প্রতি বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত থাকে গাড়ীর কৃত্রিম সংকট। এই সড়কে চলাচলকারী অধিকাংশ গাড়ী বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত রিজার্ভের নামে ১০০ টাকা করে করে ভাড়া আদায় করে। এই সড়কে চলাচলকারী পুরাতন গাড়ী গুলো নানা ভাবে রং করে একেক সময় একেক নামে চলাচল করলে ও আধুনিক কোন সুযোগ সুবিধা পায় না জনগন । গাড়ীগুলো একদিকে ছোট, অপরদিকে সুপার, স্পেশাল, বিরতিহীন, লালবোর্ড নানা নাম দিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলেও কার্যত যাত্রী সেবার বিন্দু মাত্র পায়না ওই সড়কে যাতায়াতকারী যাত্রীরা।
অপরদিকে চট্টগ্রাম শহর থেকে আসা যাওয়াকারী যাত্রীদের প্রতিনিয়ত বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল কাউন্টার ও শাহ আমানত নতুন ব্রিজ কাউন্টারে যাত্রীদের টিকেট পেতে নানা ধরনের ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়।
এদিকে বাঁশখালীর প্রধান সড়কের সংস্কার কাজ যথাসময়ে শেষ করলে যানজট নিরসনে ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে । তাছাড়া বাঁশখালীর পুকুরিয়া থেকে প্রেম বাজার পর্যন্ত প্রধান সড়কের উপরে ৮-১০টি বাজার বসায় প্রতিনিয়ত যানজট এবং দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে।
প্রধান সড়কের যানজট নিরসনে বাজার গুলোকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া, রাস্তার প্রশস্থ বৃদ্ধি করা এখন জনদাবীতে পরিণত হয়েছে। বাঁশখালীর একমাত্র প্রধান সড়কটি পুকুরিয়া থেকে সোজা পেকুয়ার টৈটংয়ের সাথে সংযুক্ত হলেও একমাত্র সড়কটি অধিকাংশ এলাকায় সরু হওয়ায় প্রায় সময় যানজট লেগে থাকে।
তাছাড়া বাঁশখালীতে স্থায়ী কোন বাস টার্মিনাল না থাকায় রাস্তার উপর গাড়ি রাখাতে যানজট হয়ে পড়ে নিত্য সঙ্গী। দীর্ঘদিন যাবৎ বাঁশখালীতে বাস টার্মিনালের নির্মাণের জন্য দাবী উঠলেও বার বার তা অজ্ঞাত কারণে হয়ে উঠে না। ফলে একমাত্র প্রধান সড়কের উপর গাড়ি রাখতে গিয়ে স্কুল কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের জনগণের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
বাঁশখালীর প্রধান সড়ক সংস্কার এর পাশাপাশি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও সুনিদিষ্ট দুরত্বে দোকান পাঠ সরানোর ব্যবস্থা গ্রহন এখন জনদাবীতে পরিনত হয়েছে ।