অর্থবাণিজ্য ডেস্ক : চলতি অর্থবছরের পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে জুলাই মাসের তুলনায় আগস্ট মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। যা জুলাইয়ে ছিল ৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ, আগস্ট মাসে সেটা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১৭ শতাংশে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘মিট দ্যা প্রেসে’ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেয়া আগস্ট মাসের ভোক্তার মূল্য সূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বিবিএসের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আগস্ট মাসে খাদ্যপণ্যে ও খাদ্য বর্হিভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি কমেছে। জুলাই মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ এবং আগস্ট মাসে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। অন্যদিকে, একই সময়ে জুলাই মাসে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ৮০ ভাগ, আগস্ট মাসে কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
এসময় মুস্তফা কামাল বলেন, ‘ঈদ হওয়ার কারণে জুলাই মাসের মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখি ছিল। সে তুলনায় আগস্ট মাসের মূল্যস্ফীতি সব ক্ষেত্রে কমেছে। আমরা চেষ্টা করব মূল্যস্ফীতির এ হার ধরে রাখতে।’
বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম বেশি, তাহলে মূল্যস্ফীতি কীভাবে কমবে? এমন এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের বুঝতে হবে, কোন জিনিসটা আমাদের কতটুকু প্রয়োজন। কারণ, মূল্যস্ফীতি প্রয়োজনীয়তার ওপর নির্ভর করে। কাঁচামরিচ ও পিঁয়াজের দাম বাড়লেও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্বাভাবিক থাকায় মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পাইনি।’
গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম মূল্যস্ফীতি প্রভাব ফেলবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অন্য জিনিসপত্রের দাম স্থিতিশীল থাকলে শুধুমাত্র বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়লে মূল্যস্ফীতিতে কোনো প্রভাব পড়বে না।’
পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গ্রামে আগস্ট মাসের সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ। খাদ্যপণ্যে ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ এবং খাদ্য বর্হিভূত ৬ দশমিক ৪১ শতাংশ।
আর শহরগুলোতে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। খাদ্যপণ্যে ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং খাদ্য বর্হিভূত ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ।
এদিকে, বিবিএসের মজুরি সূচক পর্যালোচনা করে দেখা যায়, জুলাই মাসের তুলনায় আগস্ট মাসে সাধারণ মজুরি সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে। জুলাই মাসে মজুরি সূচক ছিল ৯ দশমিক ৫৫ ভাগ। আগস্ট মাসে মজুরি সূচক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ।