বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ভুতড়ে বিল, হতভম্ব গ্রাহক

0

জামাল জাহেদ, কক্সবাজার : কক্সবাজার সদর এর আওতাধীন সবকটি জোনে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ভুতড়ে বিল,ভেলকীবাজীতে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে মানুষ। লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ উৎপাদনশীল সকল সেক্টরে নেমে এসেছে স্থবিরতা।

অপরদিকে আগষ্ট মাসের বিদ্যুত বিলের কপি হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সমিতির গ্রাহকরা তার বাস্তব প্রমাণ ঝাউতলার ছৈয়দুল আলম,হোটেল নিউ জামানের সামনের পানের দোকান,যার মিটার নং ২৭৬৩৫০,এসি নং ৪৬২/১৪৮৪৬,কনজুমার ২৬১৬৯৯৫১,লোকেশন ৫২,বুক নং ১২৫,বিল নং ২৯২৯৭০৯।নির্দিষ্ট আগস্ট মাসের বিল দেখিয়েছিলেন এক মাসে ২০৬৭২টাকা,একটা সামান্য পানের দোকানে এই বিল দেখে হতভম্ব সে।

কারন মিটার রেডিং বা কোন ইউনিট উল্লেখ না করে সরাসরি বিলের কাগজ ধরিয়ে দেয় তার অভিযোগ,পরে যোগাযোগ করলে সহকারি প্রকৌশলী বিতরন বিভাগ কক্সবাজার অফিস কলমে লিখে দেয় ১২হাজার পরিশোধ করতে,যার কোন সঠিক নিয়ম নেই,কেন এতো টাকার বিল।পুর্বের মাসে সে ২০হাজারের ৪ভাগের এক ভাগ মতো বিল দিলেও আগস্টে কেন ৪গুন বেশি জানতে চাইলে কোন সঠিক উওর দিতে পারেনি কক্সবাজার বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ।বিগত কয়েক মাসের তুলনায় আগষ্ট মাসে হঠাৎ বিলের পরিমান দুই থেকে তিনগুন বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রাহকদের মাঝে চরম ক্ষোপের সৃষ্টি হয়েছে।

একাধিক গ্রাহকদের অভিযোগ,কক্সবাজার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড লোকসান দেখিয়ে একদিকে যেমন সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে, অন্য দিকে গ্রাহকের মাথায় ভৌতিক বিলের বোঝা চাপিয়ে কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে অতিরিক্ত মুনাফা। এক কথায় তারা সেবার নামে গ্রাহকদের সাথে করছে চরম প্রতারণা।হাতিয়ে নেয় কোটি কোটি টাকা।গ্রাহক অভিযোগ করে আরোও বলেন, মে, জুন ও জুলাই মাসের বিদুৎ বিলের পরিমান তুলনামুলক কম ছিল। কিন্তু আগষ্ট মাসের বিল গ্রাহকদের দুই, তিনগুন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের চরম বিরম্বনায় পড়তে হয়েছে।এসএম পাড়ার মোসলেম জানান,জুন ও জুলাই মাসের তার ৩’শ থেকে ৪’শ টাকা বিল এসেছিল।

কিন্তু আগষ্ট মাসে তা দ্বিগুন বাড়িয়ে ৮’শ ৯৪ টাকা করা হয়েছে। বড় বাজারের ব্যবসায়ী আলামিন হোসেন জানান, জুন ও জুলাই মাসের বিদ্যুৎ বিল ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৪’শ পরিশোধ করেছি। কিন্তু আগষ্ট মাসে ৩ হাজার ৪’শ টাকা বিল দেওয়া হয়েছে।তারেক ইসলাম জানান, আগষ্ট মাসের বিলের কপি হাতে পেয়ে এক প্রকার হতবাক হয়েছি। শুধু এরাই নয় এ সমিতির আওতাধীন শতশত গ্রাহককে হাজার হাজার টাকা ভুতড়ে অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করতে হয়েছে। কেউ বা জরিমানা দিয়ে বিল পরিশোধ করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, মাঠপর্যায়ে মিটার রিডিং সংগ্রহকারীরা (মিটার রিডার) অনেক সময় গ্রাহকদের বাড়িতে না গিয়ে আন্দাজে রিডিং ওঠায়।

সেই চাপ সামলাতে গিয়ে সাধারন গ্রাহককে হিমশিম খেতে হয়। সমিতির ভুতড়ে বিলের জন্য গ্রাহকেরা ক্ষুদ্ধ হয়ে পড়েছে। কক্সবাজার বিদ্যুৎ বিতরন বিভাগের প্রকৌশলী মোঃ একরাম জানান,চাহিদার তুলনায় মেগাওয়াট কম,তাই বাধ্য হয়ে লোডশেডিং করা হচ্ছে। অতিরিক্ত বিলের ব্যাপারে তিনি বলেন, বিদ্যুত ব্যবহার বেশি হওয়ায় বিল বেশি হয়েছে। তবে অসামঞ্জস্য কিছু থাকলে অভিযোগ করলে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.