শিল্পী আবদুল আলীমের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

0

বিনোদন জগৎ, সিটি নিউজ :: বাংলা লোক সঙ্গীতের কিংবদন্তি শিল্পী আবদুল আলীমের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ । এ উপলক্ষে আবদুল আলীম ফাউন্ডেশন এবং তার পরিবারের পক্ষ থেকে সকালে বনানী কবরস্থানে শিল্পীর সমাধিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মধ্যদিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়।

দীর্ঘ সাড়ে তিনদশক এই শিল্পী লোকসঙ্গীতের নানা ঘরানায় গান গেয়ে বাংলা গানের জগতকে সমৃদ্ধ করেছেন। একাধারে পল্লীগীতি, লোকসঙ্গীত, মরমী গান, বিচ্ছেদ, ভাওয়াইয়া, লালন, হাছন ও চলচ্চিত্রসহ বিভিন্ন ধারার গান পরিবেশন করেছেন আবদুল আলীম। ভরাট ও শ্রুতিমধুর কণ্ঠ এবং পরিবেশনায় নিজস্ব গায়কী ঢঙের ফলে লোকগানের একজন শিল্পী হিসেবে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন।

শিল্পী আবদুল আলীম ১৯৩১ সালের ২৭ জুলাই তৎকালীন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার তালিবপুরে জন্মগ্রহণ করেন। মাধ্যমিকে অধ্যয়নকালে তিনি গান গাওয়া শুরু করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকায় এসেই তৎকালীন ঢাকা রেডিওতে নিয়মিত গান গাওয়া শুরু করেন। সেই থেকে আজীবন তিনি একজন মেধাবী শিল্পী হিসেবে লোকসংগীত পরিবেশন করে অগণিত মানুষের মন জয় করেন।

শিল্পী আবদুল আলীমের গাওয়া জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘চিরদিন পোষলাম এক অচিন পাখি’, ‘এই যে দুনিয়া কিসেরও লাগিয়া’, ‘সর্বনাশা পদ্মা নদী’, ‘হলুদিয়া পাখি সোনারই বরণ’, ‘নাইয়ারে নায়ের বাদাম তুইলা’, ‘দুয়ারে আইসাছে পালকি’, ‘আমারে সাজাইয়া দিও’, ‘পরের জায়গা পরের জমি’, ‘মনে বড় আশা ছিল’, ‘সব সখিরে পার করিতে নেব আনা আনা’, ‘উজান গাঙের নাইয়া’, ‘এই সংসারে কেউ নাই আপনজনা’ প্রভৃতি।

আবদুল আলীমের কণ্ঠ দেয়া প্রায় তিনশ গানের রেকর্ড রয়েছে। প্রকাশ পেয়েছে কয়েকটি অ্যালবাম। বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথম (সবাক) ছবি ‘মুখ ও মুখোশ’ থেকে শুরু করে তিনি শতাধিক চলচ্চিত্রে গান গেয়েছেন।

‘সুজন সখি’ ছবির গানে কণ্ঠ দেয়ার জন্য আবদুল আলীম ১৯৭৪ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এছাড়া ১৯৭৭ সালে একুশে পদক (মরণোত্তর) এবং ১৯৯৭ সালে স্বাধীনতা পদক লাভ করেন। ১৯৭৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তৎকালীন ঢাকার পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) মৃত্যুবরণ করেন। তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.