গরীবের বউ সকলের ভাবী
জুবায়ের সিদ্দিকীঃ দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় মনোনয়ন ঘোষনা অথবা জোট মহাজোটের হিসাব নিকাশ শুরু হয়নি। নির্বাচনী তফশিলও ঘোষনা করা হয়নি। কিন্তু অপেক্ষায় বসে নেই রাজনৈতিকদলগুলোর মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচারনায় মাঠে নেমে পড়েছেন। সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জন সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছে।
তবে অনেকটা পিছিয়ে আছে বিএনপি। দলীয় কোন্দলের পাশাপাশি ক্ষমতাসীনদের চাপে প্রকাশ্যে দলীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করতে পারছেন না। তবে কৌশলে ভোট চাইছেন তারা। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে বেশ সরব। চট্টগ্রামের অধিকাংশ এলাকা জোয়ারের পানি ও জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত।
মানুষের জীবন ও জীবিকা থমকে পড়েছে। ভাদ্রের কড়া রৌদ্রেও আগ্রাবাদ হালিশহর চাক্তাই খাতুনগঞ্জ বাকলিয়া থাকে জোয়ারের পানিতে ডুবন্ত। এসব দূর্ভাগা মানুষের পাশে না দাড়িয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন দল ও নিজের উন্নয়নের ফিরিস্তি নিয়ে। এতে করে মানুষ তাদের উপর বিক্ষুব্ধ। নগর বাসীর ট্যাক্সের টাকায় প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা পরিচালিত হলেও দূর্ভোগ লাগবে তাদের কোন উদ্যোগ নেই।
ক্ষমতাসীনদের নেতা এমপি বা কোন জনপ্রতিনিধি মানুষের এ দুর্গতি দুর করতে কোন উদ্যোগ দৃশ্যমান হয়নি। এতে করে মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। আগ্রাবাদ ও হালিশহরের অনেক বাসিন্দা নিজের ভিটা মাটি ছেড়ে অন্যত্র ভাড়া বাসায় বসবাস করছে। এছাড়া রয়েছে রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। নগরীর প্রাণকেন্দ্র এ দুটি এলাকার বিস্তীর্ণ জনপদে জনগনের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
এমতাবস্থায় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের এ ভোট চাওয়াকে “কাঁটা গায়ে নুনের ছিটা” বলে মনে করছে এলকাবাসী। সিডিএ ও সিটি কর্পোরেশন উন্নয়ন কর্মকান্ড চলমান রাখলেও সংসদ সদস্য ও মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কোন ভূমিকা নেই। জনগনেকে ব্যালটের বুলেট মনে করে এরা ক্ষমতার সিঁড়ি পাড়ি দিতে চায়।
বাকলিয়ার জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত এক বাসিন্দা টুলু সওদাগর বললেন, আমরা গরীব, আমরা মধ্যবিত্ত, আমাদের ভিটে মাটি ছেড়ে আমরা কোথায় গিয়ে উঠি। দিনে দুবার বাড়ীঘর পানিতে নিমজ্জিত হচ্ছে। আমাদের কাছে প্রার্থীরা আসছেন ভোট চাইতে। এ যেন গরীবের বউ সকলের ভাবী।