সিটিনিউজবিডি : মুন্সীগঞ্জের পদ্মার পানি কিছুটা কমলেও এখনও জনদুর্ভোগ কমেনি। পানি বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
ভাগ্যকূল পয়েন্টে বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত ১১ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। পানিবন্দী আছে তিন উপজেলার কয়েক শতাধিক মানুষ।
এখনও পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে পদ্মা তীরের শত শত পরিবার। সেই সঙ্গে নদী ভাঙনও অব্যাহত রয়েছে।অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফজলে আজিম জানান, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। সবসময়ই মনিটরিং হচ্ছে। সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা লৌহজংয়ের কুমার ভোগ ও হলুদিয়া ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী এলাকা।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে লঙ্গরখানা খোলা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র বানানো হয়েছে কিন্তু কেউ আসে না। প্রাথমিক তালিকা দেখে ১০০টি পরিবারকে নগদ পাঁচ হাজার টাকা করে এবং ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।বন্যাকবলিত খড়িয়া এলাকার বাসিন্দা রাহেলা (৩০) বলেন, ‘মন্ত্রী আইসা দেইখা গেছে। চাইল পাইছি। আমাদের নদীতে বাঁধ দরকার। ভাঙতে ভাঙতে অনেক কিছু নদীতে গেছে গা। ভিটাটা আছে।’সুফিয়া খাতুন (৫৫) বলেন, ‘খুব অসহায় আছি। এতটুকু গেলে গা আর কোনো জায়গা নাই।’
একই এলাকার করিম ব্যাপারি বলেন, ‘রান্না-বান্নার অসুবিধা। সাহয্য পাই নাই। সরকার উদ্যোগ নিয়া সাহায্য দেক। তাইলে বাঁচতে পারুম।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ওয়ার্ক এসিসট্যান্ট মো. জয়নাল জানান, পানি কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। পদ্মার পানিতে ঘরবাড়ির আঙ্গিনা বেষ্টিত। ২-৩ দিনের মধ্যে কেউ পানিবন্দী থাকবে না।