বিশ্ব কাঁপানো নাইন ইলেভেন আজ

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আজ নাইন ইলেভেন। ১৪ বছর আগে এদিনে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারসহ একযোগে চালানো চারটি আত্মঘাতী হামলায় নিহত হয় প্রায় ৩ হাজার মানুষ। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের সেদিন সকালে ঘুম ভেঙেই ভয়াবহ দুঃস্বপ্নের মধ্যে পড়েছিল নিউইয়র্কের মানুষ। তখন সকাল ৯টা। চারটি মার্কিন যাত্রীবাহী বিমান ছিনতাই করে ১৯ মুসলিম চরমপন্থি আত্মঘাতী হামলা চালায় টুইন টাওয়ারে।

এর মধ্যে দুটি বিমান ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের উত্তর ও দক্ষিণ টাওয়ারে ঢুকে পড়ে। গুঁড়িয়ে যায় ভবন দুটি। মার্কিন এয়ারলাইনসের ছিনতাই করা আরেকটি বিমান নিয়ে হামলা চালানো হয় মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগনে। আর যাত্রীদের চেষ্টায় নির্ধারিত স্থানে হামলা চালাতে ব্যর্থ হয়ে পেনসিলভেনিয়ার আকাশে বিধ্বস্ত হয় চতুর্থ বিমানটি। বিশ্বের অন্যতম উঁচু ভবন দুটি নিমেষেই গুঁড়িয়ে দেয় আল-কায়েদার হামলা। সেখানেই মারা যায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ৩ হাজার মানুষ। এ ভয়াবহতা দেখে কেঁপে ওঠে পুরো বিশ্ব।

হামলার সঙ্গে সঙ্গেই আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে টার্গেট করে শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান। অনেক নাটকীয়তার পর অবশেষে পাকিস্তানে লাদেনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শেষ হয় লাদেন অধ্যায়। তবে থামেনি সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান। সেদিনের সেই ৩ হাজার মানুষের মৃত্যুর বিপরীতে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান কেড়ে নিয়েছে লাখো প্রাণ। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় পাওয়া তথ্যমতে, টুইন টাওয়ারে নাইন ইলেভেন হামলার পর যুদ্ধে এশিয়ায় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় দেড় লাখ মানুষ। গুরুতর আহত হয়েছে ১ লাখ ৬২ হাজার।

২০০১ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে এসব মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এসব মানুষের প্রাণ হারানোই শেষ কথা নয়, এ যুদ্ধে অবকাঠামো ধ্বংস, অপুষ্টি এবং বিভিন্ন রোগে মৃত্যু ও আশ্রয়হীন মানুষের সংখ্যা যে কত তার সঠিক হিসাব বের করা দুঃসাধ্য। সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছে বেসামরিক মানুষ। এ সংখ্যা আফগানিস্তানে ২৬ হাজার ২৭০ এবং পাকিস্তানে ২১ হাজার ৫০০। আফগানিস্তানে বেসামরিক নাগরিকের বেশির ভাগই নিহত হয়েছে জঙ্গি হামলায়। তবে ২০১২ সাল থেকে আফগান সরকার ও আন্তর্জাতিক বাহিনীর হামলায় এ সংখ্যা বেড়েছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.