রাবিশ ও খামোশের রাজনীতি

0

জুবায়ের সিদ্দিকীঃ সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালনে এমপি, মন্ত্রি, আমলা বা নেতাদের প্রশ্ন করে থাকেন কেউ প্রশ্নের জবাব সহজভাবে দেন, কেউ চটে যান তেলে বেগুনে। যেমন অর্থমন্ত্রি আব্দুল মাল আব্দুল মুহিত চটে গিয়ে বলতেন রাবিশ। সাম্প্রতিক সময়ে ড. কামাল বলেছেন, “খামোশ”। এই দুটি শব্দই ব্যবহার হয়েছে সাংবাদিকদের উপর।

বড় দুটি দলের শীর্ষ নেতারা মাঝে মধ্যে উদ্ভট আচরণ করেন যাহা জনমনে হাসির খোরাক হয়ে উঠে। যে সব মন্ত্রি, এমপি ও বিচক্ষণ এবং রাজণৈতিক প্রজ্ঞা, জ্ঞান, বুদ্ধি, বিবেক রয়েছে তাদেরকে যত তীর্যক প্রশ্ন করা হোক না কেন তা সহজভাবে নিয়ে সুন্দর ভাষায় জবাব দেওয়ার দৃশ্যও জনগন দেখেছে। আমাদের দূর্ভাগ্য, রাজনীতিবিদদের মধ্যে সহনশীলতা, নম্রতা, সাবলীল ভাষা যেন দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। আবার এরপরের দৃশ্য হয়ে যায় চমৎকার। যথারীতি দুঃখ প্রকাশ এখন রেওয়াজে পরিনত হয়েছে। সাংবাদিকদের শুধু রাবিশ বা খামোশ বলে ওনারা ক্লান্ত হননি ।

কোন কোন রাজনীতিবিদ পদ পদবী পাওয়ার পর অথবা ক্ষমতায়নের যাদুর স্পর্শে বদলে যান। আচার-আচরণে এখন হামবড়াই ভাব। এই হাবভাব প্রভাব পড়ে যেমন সুস্থধারার রাজনীতিতে তেমনিভাবে সভ্যতার চলমান সংস্কৃতিতে। ক্ষমতায় থাকলে একরকম ব্যবহার, ক্ষমতায় না থাকলে এক রকম ব্যবহার আমরা প্রত্যক্ষ করছি। ক্ষমতার বাহিরে থাকা কোন কোন নেতাও মাঝে মধ্যে বিরূপ আচরণ করে বসেন আগের অভ্যাস ঝালাই করতে গিয়ে।

সমাজ বিনির্মাণে রাজনীতির সংস্কৃতি যখন মুখ থুবড়ে পড়ে অর্থের ও সম্পদের মাঝে তখন দুঃখ হয় তাদের অধঃপতন দেখে। রাজনীতিতে শেষ বলে কোন কথা নেই। দুশমন মিত্র হতে সময় লাগে না, আবার মিত্র থেকে দুশমন হতেও সময় লাগে না। আমাদের রাজনীতিবিদদের থেকে আমরা ভাল ব্যবহার আশা করি । কোন অবস্থাতে যেন লাগাম ছেড়ে না গিয়ে সংযত থাকার চেষ্টা করি। তবেই রাজনীতি, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য সহজ হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.