বাঁশখালীতে সিএনজি শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

0

বাঁশখালী প্রতিনিধি  : বাঁশখালী চট্টগ্রাম সড়কে সিএনজি শ্রমিকদের অবরোধের কারণে সকল ধরনের যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করায় সকল ৬ টা থেকে দুপুর প্রায় ৩ টা পর্যন্ত এ সড়কে যাতায়াতকারী সকল ধরনের যানবাহন সিএনজি শ্রমিকদের অবরোধের কবলে পড়ে। ফলে সাধারণ যাত্রীরা যাতায়াতে চরম ভাবে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়।

পরবর্তীতে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুজ্জামান ও থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার মজুমদারের সন্ধ্যা ৬ টায় উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ে এ নিয়ে বৈঠকের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিলেও কোন ধরনের সিএনজি চলাচল করেনি। তাছাড়া এই সড়কের যাতায়াতকারী যানবাহন গুলো শ্রমিক সংগঠনের কর্মীদের অবরোধের ফলে আটকা পড়ে। তৈলারদ্বীপের শঙ্খ সেতুতে টোল বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাঁশখালী চকরিয়া পেকুয়া সাতকানিয়া সিএনজি শ্রমিকরা গত শনিবার থেকে অবরোধের ডাক দেয়।

গতকাল রবিবার তাদের মানববন্ধন কর্মসূচী থাকলেও সারা বাঁশখালীসহ পেকুয়া-চকরিয়া এবং সাতকানিয়া সিএনজি শ্রমিকরা শঙ্খ নদীর দক্ষিণ পার্শ্বে অবস্থান নিয়ে দুই পাশ থেকে আগত সকল ধরনের যানবাহন বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার মজুমদার অবরোধ স্থানে গিয়ে তাদের সমস্যার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে বসে বিহীত ব্যবস্থা করা হবে এই বক্তব্য প্রদানের পরেও শ্রমিকরা তা না মানলে পরবর্তীতে সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ ব্যাপারে বৈঠক আহবান করা হয়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের বৈঠকের কোন ধরনের সুরাহার খবর পাওয়া যায়নি।

শঙ্খ নদীর তৈলারদ্বীপ সেতু হয়ে চট্টগ্রাম শহরের যাতায়াত করে। বিগত দিনে এই সেতুতে ৫ টাকা হারে টোল আদায় করলেও সম্প্রতি এই টোল ১৫ টাকা করা হয় এবং তা জোর পূর্বক আদায় করা হচ্ছে বলে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়। এই টোল প্রত্যাহারের দাবীতে গতকাল বাঁশখালী পেকুয়া চকরিয়া ও সাতকানিয়ার অধিকাংশ সিএনজি বন্ধ রাখে মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে।

তারা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জকে এর বিহীত দাবী করে বাঁশখালী চকরিয়া পেকুয়া সাতকানিয়া সিএনজি শ্রমিক সমিতির পক্ষ থেকে গতরাতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সিএনজি শ্রমিকদের দাবী তাদের একটি সিএনজি ৪ জন যাত্রীসহ প্রায় ৭শ কেজি হয়। তাতে ১৫ টাকা টোল নেওয়া হচ্ছে। যা জনপ্রতি ৩ টাকা ৭৫ টাকা। অপরদিকে কোস্টার গুলো ৪১ জন যাত্রী সহ প্রায় ৭১০০ কেজি ওজন হলেও তাদের টোল নেওয়া হচ্ছে ১৫ টাকা যা জনপ্রতি ০.৩৬ পয়সা।

উপরোক্ত হারে টোল নেওয়ার প্রেক্ষিতে সিএনজি শ্রমিকদের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে অজুহাত সৃষ্টি করছে। সিএনজি শ্রমিকদের অবরোধের ফলে সকল ধরনের যাত্রীরা চরম ভাবে বেকায়দায় পড়তে হয়। রাতে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে সিএনজি শ্রমিকদের সাথে বৈঠক চললেও শ্রমিকদের দাবী পূর্বের ন্যায় ৫ টাকা টোল করা না হলে তারা অবরোধ অব্যাহত রাখবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.