কক্সবাজারে ধরাছোঁয়ার বাইরে ইয়াবা গডফাদার মোস্তাক 

অক্ষত মোস্তাকের ইয়াবা সাম্রাজ্য

0

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজারঃ কক্সবাজারের ইয়াবা গড ফাদার মোস্তাক। সরকারের সাধারণ ক্ষমাও গ্রহণ করেনি। বরং সরকারকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে ইয়াবা কারবার করে যাচ্ছে।বর্তমানে ইয়াবা পাচারের ঘটনায় ১৩টি মামলা মাথায় নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে ইয়াবা গড ফাদার মোস্তাক আহম্মদ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনেকটা চ্যালেঞ্জ করে এই কারবারী অবৈধ ব্যবসা অব্যাহত রেখেছেন।

কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের এই মোস্তাক আহামদ মুরগীর সাথে ইয়াবা পাচার করে হয়েছেন কোটিপতি। কোটি টাকা খরচ করে হয়েছেন ইউপি সদস্য। একের পর এক ইয়াবা মামলার আসামী হয়েও রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। প্রকাশ্যেই করছেন রাজনীতি, অংশগ্রহন করছেন সভা সমাবেশে। প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে এখনো প্রতি সপ্তাহে দুই বার করে ঢাকায় ইয়াবা পাচার করছে বলে একটি বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে। ভয়ংকর ইয়াবা গডফাদার মোস্তাকের সাম্রাজ্য এখনো অক্ষত রয়ে গেছে।

কক্সবাজার ও ঢাকার বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে রয়েছে অন্তত ডজনাধিক মামলা। ২০১৮ সালের ৮ ও ১৩ অক্টোবর দুই দফায় ঢাকায় র‌্যাব ও পুলিশের হাতে মোস্তাকের সহযোগীরা ইয়াবা সহ আটক হলেও পালিয়ে গেছেন গডফাদার মোস্তাক। এঘটনায়ও মামলা হয় মোস্তাকের বিরুদ্ধে।

গত বছরের অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে ঢাকায় দুইটি ইয়াবা মামলার আসামী হয়েও কক্সবাজারে প্রকাশ্যেই আছেন মোস্তাক। মাঝে মাঝে আত্ম গোপনে চলে গেলেও এখন প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করে ইয়াবা সামরাজ্য ঠিকিয়ে রেখেছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারী সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের হাতে ১০২ ইয়াবা কারবারী আত্মসর্ম্পণ অনুষ্টানেও মোস্তাককে অনেকে দেখেছে বলে প্রকাশ।

রামু থানায় একবার ১০ হাজার পিচ ইয়াবাসহ আটক অবস্থায় মোস্তাক
রামু থানায় একবার ১০ হাজার পিচ ইয়াবাসহ আটক অবস্থায় মোস্তাক

তালিকাভূক্ত শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী এই মোস্তাক কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার। অভাবের তাড়নায় এই মোস্তাক আনসার সদস্য হিসেবে চাকরি শুরু করলেও অল্প টাকায় সন্তুষ্ট হতে না পেরে চাকরি ত্যাগ করেন। শুরু করেন মিয়ানমারের চোরাই পণ্যের ব্যবসা। সেখানেও তার ভাগ্য খুলেনি। পরে শুরু করে মুরগীর ব্যবসা। একই সময় জড়িয়ে পড়েন ইয়াবা পাচারে। এক সময়ের মুরগীর বিক্রেতা মোস্তাক এখন কোটি কোটি টাকার মালিক, গড়ে তুলেছে বিত্তবৈভব, গাড়ি, বাড়ি, ফিশিং বোটসহ আরো অঢেল সম্পদ, কোটি টাকা খরচ করে হয়েছেন জনপ্রতিনিধিও।

তালিকাভুক্ত ইয়াবা চোরাকারবারি মোস্তাক আহমদ ওরফে ইয়াবা মোস্তাক। তার বাড়ি ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালিয়াপালং এলাকার আশরাফ মিয়ার ছেলে। তার বাবা আশরাফ মিয়া পেশায় কাঠুরিয়া। কয়েক বছর আগেও খেয়ে না খেয়ে জীবন গেছে তাদের। কিন্তু এখন ইয়াবার কল্যাণে কাঠুরিয়া বাবার সংসারকে কোটিপতির কাতারে নিয়ে গেছেন মোস্তাক।

অনুসন্ধানে জানা গেছে , দরিদ্র বাবার টাকায় অল্প পড়াশোনা করে আনসার বাহিনীতে যোগ দেন মোস্তাক। ছোটবেলা থেকেই লোভী প্রকৃতির ছিলেন তিনি। এ কারণেই মাত্র তিন বছরের মাথায় ছেড়ে দেন অল্প বেতনের আনসার সদস্যের চাকরি। এরপর তার বড় ভাই মনসুরের হাত ধরে মিয়ানমারের চোরাই পণ্যের ব্যবসা শুরু করেন। মরিচ্যা বাজার এক সময় ছিলো চোরাইপণ্য পাচারের ঘাটি।
শুরু থেকেই মিয়ানমার সীমান্ত থেকে চোরাই পথে কাপড়, আচার, বিয়ার, মদসহ নানা পণ্য নিয়ে আসে।

টানা এক বছর চোরাই পণ্যের কারবার করে সীমান্তের সকল অবৈধ পথ রপ্ত করেন। এক পর্যায়ে জড়িয়ে পড়েন ইয়াবা পাচারে। সামান্য সংখ্যায় ইয়াবা নিয়ে পাচার শুরু করেন মোস্তাক। শুরুর দিকে তিনি নিজেই পাচার করতেন। ওই সময় গ্রামে গ্রামে ঘুরে খুচরা বিক্রিও করতেন ইয়াবা।

এলাকাবাসি জানান, মোস্তাকের বড় ভাই মনসুর গ্রামে গ্রামে ঘুরে মুরগি সংগ্রহের ব্যবসাও করেন। ভাইয়ের সঙ্গে মুরগি সংগ্রহের আড়ালে মোস্তাক খুচরা ইয়াবা করেন। পরে তিনি ইয়াবা চোরাচালানে জড়িয়ে পড়েন।

সূত্রমতে, ইয়াবা জগতে মোস্তাক পা দেন হ্নীলার শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদের হাত ধরে। মোস্তাক ছিলেন নুর মোহাম্মদের অন্যতম সহযোগী। তবে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নুর মোহাম্মদ নিহত হওয়ার পর ওই সিন্ডিকেট ছেড়ে নিজেই একটি ইয়াবা পাচার সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন।

সিন্ডিকেটে মোস্তাকের অন্যতম সদস্য হিসাবে সম্পৃক্ত করে তার বড় ভাই মনসুর, ঈদগড় ইউনিয়নের এক জনপ্রতিনিধির ভাই হাফেজ শহিদুল ইসলাম, খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর আবু তাহের টুলু, আরমান, আবদুল গণি, সাইফুল ও মিজান সহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে। এদের মধ্যে ইয়াবা নিয়ে অনেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হন। সেই সময় প্রমাণ মেলে ওই ইয়াবাগুলো ছিল মূলত মোস্তাকের।

মোস্তাক সিন্ডিকেটের অনেকে গ্রেফতার হলে, সিন্ডিকেট শক্তিশালি করনে যোগদেন সিএনজি জাফর, মিজান, সাইফুলসহ আরো কয়েকজনকে। তার ইয়াবা বহনকারী হিসেবে ছিলো খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালিয়া পাহাড় পাড়ার আবদুল গণি। তার বাবাও একজন পেশায় চিহ্নিত ডাকাত ছিলেন। কিন্তু মোস্তাকের সাথে দীর্ঘ প্রায় ১ বছর ইয়াবা ব্যবসার পর এই আবদুল গণি এখন নিজেই একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন।

গণির বেশির ভাগ ইয়াবা উত্তর বঙ্গে পাচার করে আসছে। আর টাকা আসে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে। তার ছেলে নিয়মিত কুরিয়ার সার্ভিস থেকে টাকা উত্তোলণ করে। নব্য এই ইয়াবা কারবারী মোস্তাকের হাত ধরে এখন অন্তত ১০ কোটি টাকার মালিক। কিনেছে গাড়ী, জমি। স্থানীয় লোকজনও তার এই উত্তান দেখে হতবাক। কিন্তু এরা এখনো অধরা। বর্তমানে বেপরোয়াভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন ইয়াবা ব্যবসা।

আরো জানা গেছে, মোস্তাক সিন্ডিকেটের আরেক অন্যতম সদস্য ঈদগড়ের শহিদুল ইসলাম। ইয়াবা ব্যবসার টাকা জামায়াতের নাশকতা কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করে জামায়াতের রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন শহিদুল ইসলাম। অথচ এক সময় মারাত্মক অস্বচ্ছল ছিলেন তিনি। তবে এখন কোটি কোটি টাকার মালিক।

নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারি এলাকায় কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে শতশত একর রাবার বাগান গড়ে তুলেছেন। নিজের টাকা খরচ করে আপন ভাইকে জনপ্রতিনিধি বানিয়েছেন। কক্সবাজার শহরের বিজিবি ক্যাম্প এলাকায় শহিদুল ইসলামের একটি বহুতল ভবন রয়েছে। বর্তমানে ওই ভবনে ইয়াবা গোডাউন গড়ে তোলা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করলে প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

সূত্রমতে, মোস্তাক সিন্ডিকেটের সবচেয়ে বেশি ইয়াবা পাচার হয় সাগর পথে। ইয়াবা বহনের জন্য মোস্তাকের মালিকানাধীন ৬টি ফিশিং ট্রলার রয়েছে। ওই ট্রলারগুলো দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা বহন করে ইনানীর রেজু খালের মোহনায় নিয়ে আসে। স্থল ও নৌ পথে পাচারের জন্য সেখানে খালাস হয় ইয়াবার চালান। সেখান থেকে ইয়াবাগুলো সংগ্রহ করে ঘুমধুম-গর্জনিয়া-বাইশারি-ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়ক দিয়ে পাচার করা হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে।

এছাড়াও মাদার চিংড়ি আহরণের জাহাজ দিয়েও সমুদ্র পথ দিয়ে পাচার হয় মোস্তাক সিন্ডিকেটের ইয়াবা। এই রকম একাধিক জাহাজে মোস্তাকের অংশীদারিত্ব রয়েছে বলে জানিয়েছে তার একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র।

একটি সূত্র জানিয়েছেন, এক সময় খুচরা বিক্রেতা হলেও বর্তমানে বিশাল ইয়াবা গোডাউন গড়ে উঠেছে মোস্তাকের। এখন লাখ লাখ পিস ইয়াবা পাচার করে এই মোস্তাক। ইয়াবার টাকায় মোস্তাক গোয়ালিয়া পালং এলাকায় ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ২০ কোটি টাকার জমি কিনেছেন। টাকার জোরে জনপ্রতিনিধিত্বও অর্জন করেছেন। নিজের কুড়েঘরটি আলিশান বিল্ডিংয়ে পরিণত করেছেন। অথচ কয়েক বছর আগেও ঠিকমতো তিন বেলা ভাত জুটতো না তাদের কপালে। এছাড়াও তিনটি স’মিল রয়েছে তার। ৩৬ টি সিএনজি, ৩টি নোয়া ও ৪টি মাইক্রোবাস। এসব গাড়ি তুলে পৃথক ভাবে বিভিন্ন ব্যক্তিকে দেখভাল করার দায়িত্ব দিয়েছেন। কক্সবাজারের প্রায় ব্যাংকেই অ্যাকাউন্ট রয়েছে মোস্তাকের। সেখানে কোটি কোটি টাকা রয়েছে বলে জানা যায়।

সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা গেছে, বছর খানেক আগে তৎকালীন কক্সবাজারের উখিয়া সার্কেল এএসপি জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশ ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ বাড়ি থেকে মোস্তাককে আটক করে। ওই সময় তার অনুগত সদস্যরা পুলিশের ওপর হামলা করে। ওই ঘটনায় রামু থানায় তার বিরুদ্ধে মাদক ও পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা দায়ের করা হয়। সেই সময় কয়েক মাস টানা কারাভোগ করে মোস্তাক। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সহ বেশ কয়েকটি সংস্থার তালিকায়ও মোস্তাকের নাম শীর্ষে রয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, ধুরন্ধর এই ইয়াবা কারবারী এলাকার জনগণের মন জয় করার নানা কৌশল রপ্ত করেছে। অবশ্য টাকার কেরামতিতেই সব সম্ভব হয়েছে। গ্রামের প্রতিটি দরিদ্র পরিবারের যুবক-যুবতীর বিয়ের দায়িত্বও নেন তিনি। তাদের বিয়েতে যত টাকা খরচ হয় সবই বহন করে মোস্তাক। অনেককে নিয়ে টাকায় বিয়ে সাদি দিয়েছে। এ কারণে তার প্রতি সাধারণ মানুষের দরদ বেশি। আর সেটি কাজে লাগিয়েই তিনি এখন খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির তকমা লাগিয়ে নিষিদ্ধ ব্যবসার গুরুর আসনে।

অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, মোস্তাক নিজেই কক্সবাজারের রামু ও উখিয়া থেকে প্রতি সপ্তাহে দুইবার ঢাকায় ইয়াবা পাচার করে থাকেন। ঢাকায় ইয়াবা পাচারের সময় মোস্তাকের সাথে থাকে আরো ৩-৪ জন সহযোগী। তারা ঢাকার মোহাম্মদপূরের বসিলা এলাকায় ফ্ল্যাট নিয়ে ইয়াবা ব্যবসা করে। ঢাকার রায়েরবাজার এলাকার একটি ইয়াবা সিন্ডিকেটের সাথে যৌথভাবে মোস্তাক ইয়াবা ব্যবসা করে।

ঢাকার মোহাম্মদপূর থানার ওসি জামাল উদ্দিন মির জানিয়েছেন, গত বছরের ৮ অক্টোবর র‌্যাব বসিলা মডেল টাউনের একটি ফ্লাটে ইয়াবা ব্যবসায়ীর আস্তানায় অভিযান চালায়। এই সময় সিন্ডিকেট প্রধান মোস্তাক ও প্রধান সহযোগি ওমর ফারুক পালিয়ে গেলেও গ্রেপ্তার হন নুরুল আমিন ও আবদুল করিম নামের মোস্তাকের দুই সহযোগী । তাদেরকে ১০ হাজার ইয়াবা সহ আটক করা হয়। এই সময় জব্ধ করা হয় ইয়াবা ব্যবসার ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এই ঘটনায় আটক দুইজন ও গডফাদার মোস্তাক সহ ওই সিন্ডিকেটের ৯ সদস্যের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন র‌্যাব।

র‌্যাবের হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও থামেনি মোস্তাকের ইয়াবা ব্যবসা। উল্টো ৫ দিন পরে আবারও কক্সবাজারের উখিয়ার মরিচ্যা থেকে ইয়াবা নিয়ে ঢাকায় যায় মোস্তাক ও ওমর ফারুক নামের আরেক কারবারী।

যাত্রাবাড়ী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী জানান, গত বছর ১৩ অক্টোবর রাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর গোলাপ বাগ মাঠের পাশে র‌্যাব অভিযান চালালে ইয়াবা গডফাদার মোস্তাক পালিয়ে যায়। তবে তার প্রধান সহযোগী ওমর ফারুক ও কামরুল ইসলাম ৭ হাজার পিস ইয়াবা সহ র‌্যাবের হাতে ধরা পড়ে। এই ঘটনায়ও র‌্যাব বাদি হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন। ওই মামলায়ও মোস্তাককে আসামী করা হয়।

এভাবে ইয়াবা ব্যবসার ঘটনায় মোস্তাকের বিরুদ্ধে অন্তত ১৩টি মামলা রয়েছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারী সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের হাতে ১০২ ইয়াবা কারবারী আত্মসর্ম্পণ অনুষ্টানেও দু:সাসিক মোস্তাককে অনেকে দেখেছে বলে প্রকাশ।

কক্সবাজারের রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল মনসুর জানিয়েছেন, মোস্তাক খুবই ধুরন্ধর। তার বিরুদ্ধে ১৩টি ইয়াবা পাচারের মামলা আছে। তবে এসব মামলায় তিনি জামিনে আছেন। মোস্তাককে ধরতে পুলিশ গোয়েন্দা তৎপরতা চালাচ্ছে বলে জানান ওসি মনসুর।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.