মিরসরাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ হবেঃ প্রধানমন্ত্রী

0

কারেন্ট টাইমসঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চট্টগ্রাম বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল, যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এ অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নের জন্য যা যা করণীয় তা করে দিয়েছি। চট্টগ্রামের মেঘা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রামবাসীর আর কোনো দুঃখ থাকবে না।

আজ রবিবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) চট্টগ্রামের কর্নফুলি নদীতে বঙ্গবন্ধু টানেল ও লালখান বাজারে এলিভেটেডে এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে এক সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

টানেল নির্মাণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চীন সফরে গেলে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমরার আলাপ হয়। আলোচনার পর ওইদিনই আমরা চুক্তিতে সই করি। চীন সরকার সাধারণত ঋণের ৮৫ ভাগ দিয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য শতভাগ সহায়তা দিয়েছে তারা। আমাদের আগ্রহ দেখে চীনের প্রধানমন্ত্রী এ সহযোগিতা দিয়েছেন। চীনের প্রেসিডেন্টও বেশ সহযোগিতা করেছেন। তাদের এই সহায়তায় এই মহাযজ্ঞতায় আমরা প্রবেশ করেছি।

টানেলের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, টানেলের মাধ্যম নদীর তলদেশ দিয়ে নগরীর সঙ্গে যুক্ত হবে আনোয়ারা (উপজেলা)। আনোয়ারা থেকে পটিয়া পর্যন্ত ফোর লেন করে দেয়া হবে। ফলে টানেলটি কক্সবাজারকেও সংযুক্ত করবে। আনোয়ারা, পটিয়া হয়ে কক্সবাজারের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের মিরসরাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ করা হবে।

তিনি বলেন, আমি কাজ করতে চাই দেশের জন্য, দেশের উন্নয়নের জন্য এটাই বড় কথা। আমরা প্রথমবার সরকার গঠনের পরই চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করা হয়।

তিনি বলেন, এবার নগরীর লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজের জন্য উদ্বোধন করে দিয়ে গেলাম। ফলে অতি অল্প সময়েই বিমানবন্দরে পৌঁছানো যাবে।

শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। এর মধ্যে তিনি একটি সংবিধান দিয়ে গেছেন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলেছেন। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম পোর্টটা (চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর) চালু করেন, এই পোর্টে অনেক মাইন পোতা ছিল। সেগুলো বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর সহায়তায় সরানোর ব্যবস্থা করে পোর্টটাকে সচল করেছিলেন। অল্প সময়েই যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটাকে গড়ে তুলেন। কিন্তু তখনই বাঙালির ভাগ্য বিপর্যয় ঘটে। নেমে আসে ১৫ আগস্ট।

এর আগে চট্টগ্রাম পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী পর পর দুটি প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। পরে বেলা ১২টায় সুধী সমাবেশে যোগ দেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল ৯ হাজার ৮৮০ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ সহায়তা ৩ হাজার ৯৬৭ কোটি ২১ লাখ টাকা এবং চীন সরকারের অর্থ সহায়তা ৫ হাজার ৯১৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

দু’টি টিউব সম্বলিত মূল টানেলটির দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার এবং টানেলের পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক এবং ৭২৭ মিটার ওভার ব্রিজ থাকছে।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.