যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দিল পটিয়া পুলিশ

0

সুজিত দত্ত, পটিয়া প্রতিনিধিঃ পটিয়ায় পুলিশের পিটুনিতে হাত ভেঙ্গে গেছে করিম মোস্তফা নামে এক যুবলীগ নেতার। গত ২৪ মার্চ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা নির্বাচন চলাকালীন পুলিশের পিটুনিতে বেশ কয়েকজন যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৩/৪ জনের অবস্থা খুবই গুরুত্বর।

পটিয়া হাইদগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটারদের আনা নেওয়ার সময় পুলিশের পিটুনিতে মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছে হাইদগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি করিম মোস্তাফা। পুলিশের লাঠি সার্চে তার বাম হাতের বাহু ভেঙ্গে যায়। হাতের জয়েন্ট সরে গিয়ে হাতটি এখন পঙ্গু হওয়ার অবস্থা।

পটিয়া আবদুর রহমান সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোটার নেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন পৌরসভা যুবলীগের কর্মী মো. সেলিম। সকাল ১১ টায় পুলিশ হঠাৎ তার উপর চড়াও হয়ে তাকে বেদমভাবে প্রহার করে। এতে তার ডান হাতের পাঁয়ে ও পিটে মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

তাকে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এয়াকুবদন্ডী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আ’লীগ প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর পক্ষে দায়িত্ব পালনকালীন উপজেলা আ’লীগ নেতা মর্তুজা কামাল মুন্সি পুলিশের হামলায় আহত হয়। সে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এব্যাপারে পটিয়া উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আ.ক.ম সামশুজ্জামান চৌধুরী জানান, নির্বাচনের দিন তাদের যুবলীগ, ছাত্রলীগের প্রায় ১৫/২০ জন নেতাকর্মীকে নির্দয়ভাবে পুলিশ মেরেছে। তাদের অনেকে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি এ হামলার পিছনে পটিয়া থানার ওসি শেখ মো. নেয়ামত উল্লাহ জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, তাদের দলীয় নেতাকর্মীরা আ’লীগ প্রার্থীর পক্ষে ভোটারদের কেন্দ্রে আনার সময় পুলিশ অতর্কিতে বিভিন্ন কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। যা খুবই দুঃখজনক। এ বিষয়ে পটিয়া থানার ওসি শেখ নেয়ামত উল্লাহ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি কোনো দলীয় নেতাকর্মীকে মারধর করেনি। এমনকি তার কোনো ইঙ্গিতও ছিলনা। সে ধরণের অভিযোগের কেউ প্রমাণ দিতে পারবে না। কেন্দ্রে ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োজিত ছিলেন। সুতারাং কোন কেন্দ্রে কি হয়েছে তিনি জানেন না।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.