চট্টগ্রামে বন্দুক যুদ্ধে নিহত অপর বড় ভাই সাইফুল

0

সিটি নিউজঃ চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার ফুলতলা এলকায়  কিশোর প্রেমের বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ ‘বড় ভাই’য়ের গুলিতে নিহত লোকমান হোসেন রনি হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. সাইফুল (২৮) পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ভোর রাতে চট্টগ্রাম মহানগরের বাকলিয়ার কল্পলোক আবাসিক এলাকার পাশে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি এবং দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সিএমপির বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রণব চৌধুরী এ খবর নিশ্চিত করে বলেছেন, নিহত সাইফুল যুবলীগকর্মী এমএইচ লোকমান রনি হত্যা মামলার প্রধান আসামি এবং একটি কিশোর গ্রুপের ‘বড় ভাই’ নামে পরিচিত।

তিনি বলেন, সোমবার (৮ এপ্রিল) রাতে জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার জাফতনগর গ্রাম থেকে লোকমান হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাইফুল এবং তিন নম্বর আসামি জিয়াউদ্দিন বাবলুকে গ্রেফতার করা হয়। লোকমান হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রের বিষয়ে সাইফুলের কাছে জানতে চাওয়া হয়। পরে তার তথ্যমতে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য কল্পলোক আবাসিক এলাকায় অভিযানে যায় পুলিশ।

এ সময় সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থলে সাইফুলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি এবং দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, খালপাড় ফুলতলা এলাকার কিশোর অনিকের সঙ্গে স্থানীয় এক কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর মধ্যে গোলপাহাড় এলাকার কিশোর শ্রাবণের সঙ্গে নতুন করে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ কারণে মেয়েটি অনিককে এড়িয়ে চলা শুরু করলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে অনিক।

গত ৬ এপ্রিল (শনিবার) রাতে শ্রাবণের বন্ধু জয় গোলপাহাড় থেকে ফুলতলা এলাকায় গেলে অনিক ও তার বন্ধুরা তাকে আটকে রেখে মারধর করে। এর মধ্যে এলাকার ওই ‘বড় ভাই’ লোকমানকে ফোন করে জয়। তখন রাত প্রায় সাড়ে ১১টা। এলাকার ছোট ভাই জয়ের ফোন পেয়ে ঘটনা কী- জানতে লোকমান হোসেন রনিসহ দুটি মোটরসাইকেলে করে ছয়জন বাকলিয়া খালপাড় ফুলতলা এলাকায় যায়। সেখানে জয়কে আটকে রাখা তরুণদের সাথে কথা বলেন তারা।

এ সময় দোতলা একটি বাড়ির ছাদ থেকে ৭-৮ রাউন্ড গুলি ছোড়ে সাইফুল। সাইফুলের ছোড়া সেই গুলি গিয়ে বিদ্ধ হয় লোকমানের মাথায়। তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক লোকমানকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় সাইফুলকে প্রধান আসামি করে মামলা হয় নগরীর বাকলিয়া থানায়। লোকমান ও সাইফুল দুইজনই নিজ নিজ এলাকায় যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তারা এলাকায় কিশোরদের গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে জানা গেছে।

এর পর সোমবার (৮ এপ্রিল) রাতে জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার জাফতনগর গ্রাম থেকে লোকমান হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাইফুল এবং তিন নম্বর আসামি জিয়াউদ্দিন বাবলুকে গ্রেফতার করা হয়। সাইফুল নগরীর বাকলিয়া থানার সবুজবাগ আবাসিক এলাকার রফিক আহাম্মদের ছেলে। আর জিয়া একই থানার খালপাড় এলাকার কামাল উদ্দিনের ছেলে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.