জিল্লুর রহমান রুমেল : বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যান নয়, বোলারদের ভয় পাচ্ছেন স্টিভেন স্মিথ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্পিনার ও পেসারদের রিভার্স সুইংয়ে যতো ভয় অজি অধিনায়কের। আর এটা মোকাবিলার জন্য এখন থেকেই মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানালেন তিনি।
‘আক্রমণাত্মক’ চেহারা বদলে বাংলাদেশ সফরে ‘রক্ষণাত্মক’ চেহারায় মাঠে নামবেন বলে জানলেন স্মিথ। প্রথমবারের মতো পূর্ণ টেস্ট সিরিজের নেতৃত্ব দিবেন স্টিভেন স্মিথ। উপমহাদেশের মাটিতে তাদের বাজে রেকর্ডের কারণে বেশ সতর্ক তিনি। এশিয়ায় সর্বশেষ পাঁচ টেস্ট সিরিজের চারটিতেই হেরেছে তারা। এরমধ্যে ২০১০ ও ২০১৩ সালে ভারতের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার লজ্জা। আর গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাকিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার লজ্জা এখনও দগদগে।
এশিয়ায় সর্বশেষ ১৫ টেস্টে মাত্র এক জয় অস্ট্রেলিয়ার। সেটা এসেছিল ২০১১ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে। এশিয়ার মাটিতে এই শতকে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় সাফল্য আসে ২০০৪ সালে। সেবার স্বাগতিক ভারতকে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার দল সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরে আসে ২০০৬ সালে। সেবার তারা ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে দেশে ফিরেছিল।
এখন বাংলাদেশ ভিন্ন। সর্বশেষ ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে ওয়ানডে সিরিজ হারিয়ে নিজেদের জানান দিয়েছে বাংলাদেশ। এমন এক দলের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সতর্ক অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্মিথ। বাংলাদেশর স্পিনার ও পেসারদের রিভার্স সুইং মোকাবিলায় রক্ষণাত্মক ক্রিকেট খেলার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উপমহাদেশের মাটিতে উইকেট পাওয়ার জন্য আপনাকে আলাদা কোনো পদ্ধতি বের করতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা আমাদের আক্রমণাত্মক চেহারা পাল্টাতেও দ্বিধা কববো না।’ কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে খেলার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চান তিনি। বাংলাদেশের পিচ অনেকটা অ্যাডিলেডের পিচের মতো বলে মনে করেন তিনি। স্মিথ বলেন, ‘বাংলাদেশে খেলার অভিজ্ঞতা আমার নেই। তবে সেখানকার মতো কন্ডিশন অস্ট্রেলিয়ায়ও রয়েছে। বিশেষকরে অ্যাডিলেডের অবস্থা বাংলাদেশের মতো। টেস্ট ও শেফিল্ড শিল্ডে অ্যাডিলেডে আমাদের রেকর্ড বেশ ভাল। আশা করি, এই কন্ডিশনের সুযোগ বাংলাদেশে লাগাতে পারবো।’
বাংলাদেশ সফর থেকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার দুই পেসার মিচেল জনসন ও জস হ্যাজেলউডকে। তাদের বদলে বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণে নেতৃত্ব দিবেন পিটার সিডল, মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স। অজি বর্তমান দলে সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় সিডল।